অনলাইন ডেস্ক : ক্রিকেটার নাসির হোসেন মানেই যেন বিতর্ক। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘ব্যাড বয়’ তকমাটি তার সাথেই যেন বেশি যায়। বিশেষ করে নারী ঘটিত বিষয় নিয়ে বিতর্কে জড়াতে যেন সিদ্ধহস্ত নাসির। সেটি এতটাই যে এ নিয়ে নানা সময় বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে স্বয়ং বোর্ড প্রেসিডেন্টকেও। ভক্তরা ভেবেছিলেন কিছুদিন আগে ধুমধাম করে বিয়ের পিড়িতে বসা নাসির এবার হয়তো স্থির হবেন।
কিন্তু নাসিরের বিয়ে ঘিরে সৃষ্ট হয়েছে নতুন বিতর্ক। বিয়ের সপ্তাহ না পেরোতেই খবর এলো অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন তিনি। তামিমা তাম্মি নামের যে নারীর সাথে তার বিয়ে হয়েছে তিনি নাকি ১১ বছরের সংসার ফেলে গাঁটছড়া বেঁধেছেন এই ক্রিকেটারের সাথে। এমনকি ডিভোর্সও দেননি পূর্বের স্বামীকে। সে ঘরে রয়েছে তার ৮ বছর বয়সী এক কন্যাও।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে তামিমা তাম্মিকে বিয়ে করেন নাসির। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি গায়ে হলুদ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি হয়েছে বিবাহোত্তর সংবর্ধনাও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে ছবি দেন জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার। এরপরই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তার বিয়ের খবর।
শনিবার দুপুরে রাইসা ইসলাম বাবুনি নামক এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। সেই পোস্টে তামিমার স্বামী রাকিবের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, এখনও তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে। তাদের ঘরে রয়েছে ৮ বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তানও।
এ নিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন তার বর্তমান স্ত্রীর স্বামী দাবি করা এক ব্যক্তি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও (ওসি) শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, ‘জিডি নাসিরের বিরুদ্ধে করা হয়নি। এটি তার স্ত্রী তামিমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে। একটা লোক এসে দাবি করেন, তিনি নাসিরের বর্তমান স্ত্রীর স্বামী। তামিমা তাকে ডিভোর্স না দিয়ে নাসিরকে বিয়ে করেছেন। সে এখন আতঙ্কে আছেন।’
আরও দুই থেকে তিনদিন আগে সাধারণ ডায়েরিটি করা হয় বলে জানান ওসি আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস।
স্ত্রীর এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক রাকিব জানান, তার ৮ বছরের একটি মেয়ে আছে। ২০২০ সালের মার্চেও তারা পুরো পরিবার নিয়ে রাজধানীর লা মেরিলিয়ান হোটেলে থেকেছেন।
রাকিব বলেন, এখনও আমাদের ডিভোর্স হয়নি। কোনো নোটিশ ছাড়া কীভাবে আমার স্ত্রী ৮ বছরের বাচ্চাকে ফেলে অন্য একজনকে বিয়ে করলো সেটাই আমি বুঝতে পারছি না।
এর আগে ক্রিকেটার নাসির হোসেনের একটি ফোন রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে শোনা যায় ফোন করে এক ব্যক্তিকে জিডি করার ব্যাপারটি ধামাচাপা দিতে বলেছেন নাসির। রাকিব নামে ওই ব্যক্তি নাসিরকে প্রশ্ন করেন- ‘আপনি কি তামিমা সম্পর্ক সব কিছু জানেন? উত্তরে নাসির হোসেন বলেন, তার সব কিছু জেনে-শুনেই আমি তাকে বিয়ে করেছি। তার বাচ্চা আছে, আগেও বয়ফ্রেন্ড ছিল, সবকিছুই আমি জানি। আপনার বউ আপনার সঙ্গে ভালো থাকলে নিশ্চয়ই ১১ বছরের সংসার ভেঙে আমার কাছে চলে আসতো না। পাল্টা প্রশ্নে রাকিব নাসিরকে বলেন আপনি কি চান না আমি তামিমাকে নিয়ে ভালো থাকি?’ এভাবে চার মিনিট ২৮ সেকেন্ড কথা বলেন নাসির ও তার স্ত্রীর স্বামী দাবি করা রাকিব।
রাকিব হাসান ও তামিমার কাবিননামায় দেখা যায় ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিন লক্ষ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। রাকিবের দাবি, গেল ১১ বছরে তার স্ত্রীর পড়াশোনা থেকে শুরু করে জব সবক্ষেত্রেই তিনি সাহায্য করেছেন।
এই বিষয়ে জানতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।