ভিন্ন স্বাদের সংবাদ : সকাল ৭টায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে পদ্মাপারের জন্য আসেন আতাউর মিয়াঁ। ৩ নম্বর ঘাটে এসে দেখেন হাজারো মানুষ ফেরির অপেক্ষায়। দুই হাতে ব্যাগ নিয়ে ঠেলে ঠেলে ফেরির কাছে যেতে শুরু করেন। একটিতে ছিল সন্তানদের জন্য কেনা নতুন পোশাকের ব্যাগ আরেকটিতে তার নিজের ব্যবহৃত পোশাক।
বহু কষ্টে এক পর্যায়ে ডাম্প ফেরি রায়পুরাতে উঠতে পারেন আতাউর। তারপর দুইটি ব্যাগের মধ্যে একটি একবারে কিনারে রেখে আরেকটি রাখার চেষ্টা করা মাত্রই পানিতে পড়ে যায় ব্যাগটি। তীর থেকে প্রায় ১০০ গজ সামনে পানিতে ভাসমান ব্যাগটির জন্য তাৎক্ষণিক ফেরি থেকে পানিতে ঝাঁপ দেন। কিন্তু দুইটি ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে সাঁতরে তীরে উঠতে পারছিলেন না। স্থানীয় একজন জেলে নৌকা চালিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। তীব্র রোদে ৪ ঘণ্টা অপেক্ষমান ক্লান্ত আতাউর তীরে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বুধবার সকাল ১১টায় লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
তীব্র রোদে ৪ ঘণ্টা অপেক্ষমান ক্লান্ত আতাউর তীরে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছবি: স্টার
কারখানার শ্রমিক আতাউর মিয়াঁ বলেন, ‘দুই মেয়ে ও এক ছেলের জন্য নতুন জামা ছিল ব্যাগটিতে। আরেকটিতে ছিল আমার জামাকাপড়। নতুন জামার ব্যাগটি আগে পড়ে যায়। রোজা রেখে ভোর থেকে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম। অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম যার কারণে সাঁতরে যেতে পারছিলাম না। এতো মানুষ ঘাটে, আবার নতুন করে ফেরিতে যাওয়া সম্ভব নয়। এতো কষ্ট করে ফেরিতে উঠে ব্যর্থ হলাম তাই কান্না চলে আসছিল।’
নৌকার চালক মাঝহারুল ইসলাম জনান, দুইটি ভারী ব্যাগ নিয়ে তিনি ডুবে যাচ্ছিলেন। দূর থেকে দেখে তাৎক্ষণিক ইঞ্জিনচালিত নৌকা চালিয়ে তাকে উদ্ধার করি।