কলারোয়া প্রতিনিধি : আজমির শরিফে মাদরাসা তৈরি করে দেয়ার নামে দেড় লাখ টাকা নিয়ে আ্ত্মসাৎ ও গভীর রাতে টাকা নিতে এসে দুই জ¦ীনের বাদশাকে এলাকাবাসী আটক করে গণধোলাইয়ের শেষে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে উপজেলার ঝাপাঘাট এলাকায়।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে- ৭মাস পূর্বে উপজেলার ঝাপাঘাট গ্রামের মৃত তালুকদারের ছেলে শের আলী (৭২) এর সাথে একই এলাকার মৃত হাশেম আলী হাওলাদারের ছেলে আ: রহমান হাওলাদার (৫২) এর মাধ্যমে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিডাঙ্গা থানার স্বর্ণকারটিল গ্রামের মৃত হাসেম আলী হাওলাদারের ছেলে আব্দুল হক হাওলাদার (৪৫) এর পরিচয় হয়। সে এই পরিচয় সূত্রে আজমির শরিফে মাদরাসা করিয়ে দেয়ার নাম করে দেড় লাখ টাকা নেই ওই জ¦ীনের বাদশা। কিন্তু ওই জ¦ীনের বাদশা আজমির শরিফে কোন মাদরাসা না করে লাপাত্তা হয়ে যায়। দীর্ঘ ৭ মাস পরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১টার দিকে ওই দুই জ¦ীনের বাদশা শের আলীর বাড়ীতে ্এসে ৩টা তাবীজ ও ২ কোটা সিঁদুর নিয়ে হাজির হয়। এসময় বলা হয় এই রাতে ১লাখ টাকা গাছের ডালে বেধে রাখলে সকালে ২লাখ টাকা হয়ে যাবে। আর এই তাবীজ ও সিঁদুর বাড়ীতে রাখলে টাকায় বাড়ী ভরে যাবে। তাদের কথা বার্তায় সন্দেহ ও পূর্বে দেড় লাখ টাকার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে ওই দুই জ¦ীনের বাদশাকে ধরে গণধোলাইয়ের শেষে থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবীর জানান-সংবাদ পেয়ে থানার এসআই রঞ্জন কুমার মালো সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার ঝাপাঘাট গ্রামস্থ শেহের আলীর আমবাগানের মধ্য থেকে তাদের দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এঘটনায় কলারোয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।