আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় চলমান লকডাউনে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে। তবে, মৃত্যুর মিছিল ভারী হয়ে উঠেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৩ নারীসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেলে একজন ও উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭ জন মারা গেছেন।
এনিয়ে, জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৬৭ জন। আর ভাইরাসটির উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো অন্ততঃ ৩২৮ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা শেষে ২৬ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ২ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৮৮ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৩৭৮ জন।
বর্তমানে জেলায় ৮৪৩ জন করোনা আক্রান্ত রুগী রয়েছেন। এর মধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৬ জন এবং উপসর্গ নিয়ে আরো ২৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর বেসরকারী হাসপাতালে আক্রান্ত হয়ে ১৩ জন ও উপসর্গ নিয়ে আরো ১১৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া ৮১৪ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, চতুর্থ দফা চলমান লকডাউনের ২৫ তম দিনেও সাতক্ষীরায় মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই। চলছে ঢিলেঢালা লকডাউন। শহর ও গ্রামাঞ্চলের হাটবাজার গুলোতে প্রচুর মানুষের ভিড়। লকডাউনের নামে সড়কে যেনো চলছে লুকোচুরি। ভারি যানবাহন ছাড়া সবই চলছে স্বাভাবিকভাবে। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট গুলোতে চুরি করেই চলছে বেচাকেনা। পুলিশের বাধা ও ব্যারিকেডও মানছে না কেউই। যদিও পুলিশ মোড়ে মোড়ে চেকপোষ্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছে। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। তবে, ইজিবাইক, রিকসা, ভ্যান ও মোটর সাইকেল যোগে মানুষ গন্তব্যস্থলে পৌছানোর চেষ্টা করছেন। লকডাউনে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। তবে, লকডাউনে বিপাকে পড়েছেন মোটর চালিত ভ্যান ও রিক্সা চালকসহ খেটে খাওয়া মানুষ।
সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, জনসচেতনতা কম থাকায় মানুষ লকডাউন লঙ্ঘন করছে। তবে আইনশৃংখলা বাহিনী জেলার ৭ টি উপজেলায় জনসমাগম ও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য পুলিশ বিভিন্ন সড়কে বসিয়েছে ব্যারিকেড।