অনলাইন ডেস্ক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভ্যাকসিন আনার জন্য আমরা সব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। চলতি মাসে এক কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে ও আগামী মাসে আরও এক কোটি ভ্যাকসিন আসবে।
মন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় গ্রামের পর গ্রাম উজার হবে হাসপাতালেও জায়গা পাওয়া যাবে না।
সোমবার সন্ধ্যায় চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মানিকগঞ্জের সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও গণ্যমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি ক্রমশঃ খারাপ হচ্ছে। আমরা সচেতন না হলে হাসপাতালের বেড বাড়িয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। সারা দেশে করোনার রোগীর জন্য ১৬ হাজার বেড রয়েছে। ইতোমধ্যে ৯০ ভাগ বেডে রোগী আছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেড় বছর ধরে আমরা অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে যুদ্ধ করছি। এখন আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে ও সরকারের ঘোষিত লকডাউন মানতে হবে। গ্রামের হাট-বাজার চায়ের দোকানের মানুষজনের আড্ডা বন্ধ করতে হবে। গ্রামের মানুষের ধারণা ছিল তাদের করোনা হবে না। কিন্তু এখন গ্রামের মানুষের করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। সারা দেশে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মনিটরিং কমিটিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে লাল পতাকা উঠানোর পাশাপাশি সচেতনতার জন্য নিয়মিত মাইকিং করতে হবে। সচেতনতার অভাবে আমরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছি। এ ছাড়া জ্বর-কাশি নিয়ে অবহেলা করা যাবে না। করোনা টেস্ট বাড়াতে হবে। করোনা টেস্ট নিয়ে অনেকের মধ্যে অনাগ্রহ রয়েছে।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সারা দেশে স্বাস্থ্য বিভাগে ডাক্তার, নার্স, টেকনেশিয়ান মিলিয়ে ৫০ হাজার লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও ডাক্তার-নার্স নিয়োগ দেওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। করোনার কারণে নন-কোভিড রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালকে এখন থেকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করেন। এ ছাড়া সারা দেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থার জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।