বিদেশের খবর : জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়নের বিচার এবং তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনে গুরুত্বারোপ করে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পর বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এই প্রথম কোনো প্রস্তাব বিনা ভোটে জাতিসংঘে গৃহীত হলো।
গতকাল সোমবার মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশ মিশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রস্তাব পাসের খবর জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এবারের প্রস্তাবটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় মাইলফলক।’
মিয়ানমারে গণহত্যার শিকার হয়ে ২০১৭ সালের পর সাত লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তার আগ থেকে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল।
আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিব্ধ হলেও কয়েক বছরেও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি।
জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদের ৪৭তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত প্রস্তাবটি পাস হয়। বাংলাদেশের উদ্যোগে ইসলামিক সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) সব রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক প্রস্তাবটি উপস্থাপিত হয়।
পাস হওয়া প্রস্তাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যৌন অপরাধসহ সব প্রকার নির্যাতন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার আওতায় আনা ও তদন্ত প্রক্রিয়া জোরদার করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং আন্তর্জাতিক আদালতে চলমান বিচার প্রক্রিয়াকেও সমর্থন জানানো হয়।