দেশের খবর : দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করতে গণমাধ্যমকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন পরামর্শ দেন।
আদালতে ব্লাস্টের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও শারমিন আক্তার।
পরে শারমিন আক্তার বলেন, ‘এ রুলের শুনানি শেষে আদালত কিছু মতামত দিয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে— সারা দেশের শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতন বন্ধে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশে আইন থাকার পরেও শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ করতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, উপজেলা মনিটরিং কমিটি (যদি থাকে), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এসব নির্যাতনের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।’
একইসঙ্গে নির্যাতনকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা এবং শাস্তি নিশ্চিত করা হলে তা মিডিয়ায় প্রচারের জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন আদালত। এতে করে যেন সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পায় বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।
এর আগে ২০১৮ সালে কুমিল্লার বিপুলসার হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নোমান হোসেনকে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক এমদাদ হোসেন শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে সে ঘটনায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। একইসঙ্গে এ ঘটনায় আদালতে পক্ষভুক্ত হয় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।
সেই রিটের শুনানি নিয়ে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের হাতে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।