২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। নতুন মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ আগামী ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নতুন আইনে আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত প্রায় তিন হাজারের অধিক পণ্য ও সেবা ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। ফলে ওইসব পণ্যের দাম কমবে।
যেসব পণ্যের দাম কমবে:
আমদানি করা সাবান, শ্যাম্পু, জেল, তেল, টাইলস, সিরামিক পণ্য, টয়লেট সামগ্রী, রান্নাঘরের সামগ্রী, তাস, রেডিও ক্যাসেট প্লেয়ার, সব ধরনের পার্টিক্যাল বোর্ড, ওরিয়েন্টেড স্ট্রান্ড বোর্ড, ফাইবার বোর্ড, হার্ডবোর্ড, প্লাইউড দরজা, জানালা, ফাইবারযুক্ত পেপার ও পেপার বোর্ড, করোগেডেপ পেপার, পেপার বোর্ডে তৈরি বাক্স, কার্টন, বস্তা ইত্যাদি।
যেসব পণ্যের দাম বাড়বে:
মিষ্টি বিস্কুট, ওয়েফার, পটেটো চিপস, হাত-নখ-পায়ের প্রসাধন সামগ্রী, প্লাস্টিকের বাক্স, পলিমারের বস্তা, সিলিং ফ্যান, দেয়াল ফ্যান, জুতা তৈরির উপকরণ, স্যানিটারি ন্যাপকিন, ব্যাটারি, রঙিন টেলিভিশন, টেলিভিশনের পার্টস, সিমকার্ড, ব্রাশ, আমদানি করা শুটকি মাছ, আপেল, আঙুর, জিরা, এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি, চকলেট, জ্যাম, জেলি, ফলের রস, শিশুখাদ্য, বিট লবন, সিমেন্ট, সালফিউরিক অ্যাসিড, টুথপেস্ট, ডিটারজেন্ট, দিয়াশলাই, মশার কয়েল, অ্যারোসল, চামড়া ও কাপড়ের তৈরি ব্যাগ, স্যুটকেস, শপিং ব্যাগ, হাতব্যাগ, পশমি কম্বল, ফেব্রিক্স, আসবাবপত্র, কাচের আয়না, হীরা, জুয়েলারি, ইমিটেশনের গহনা ইত্যাদি।
এদিকে এ বাজেটে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে গত অর্থবছরের তুলনায় ১৫১৫২ কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। গত অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ৫০,২৯২ কোটি টাকা (সংশোধিত) বরাদ্ধ থাকলেও এবারে তা বাড়িয়ে ৬৫৪৪৪ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজেটের অর্থ সংগ্রহের মূল উৎস ধরা হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর। এ খাত থেকে অর্থ আসবে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা বাজেট আকারের ৬২ শতাংশ।বাকি অর্থ আসবে অভ্যন্তরীণ ঋণ, বৈদেশিক ঋণ, বৈদেশিক অনুদান, এনবিআর বহির্ভূত কর এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তি থেকে।