বিদেশের খবর: প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমন বাড়ছে। এরই মধ্যে দেশটিতে ওমিক্রন সংক্রমিত ২১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানে সবচেয়ে বেশি ৯ জন ওমিক্রন রোগী শনাক্ত হয়েছে, এরপর মহারাষ্ট্রে ৮ জন, কর্নাটকে ২ জন এবং গুজরাট ও রাজধানী নয়া দিল্লিতে ১ জন করে।
সোমবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পরিস্থিতি মোকাবিলায় টিকা দান কর্মসূচি আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জনগণকে টিকা নিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে টুইটারে বলেছেন, দিল্লির লোকদের অব্যশই পূর্ণ টিকা নিতে হবে, মাস্ক পরতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
নগরীটির প্রথম ওমিক্রন রোগীকে সরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে আর দিল্লির প্রাপ্তবয়স্ক বাসিন্দাদের প্রায় ৯৪ শতাংশ টিকার অন্তত একটি ডোজ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের ৯৪ কোটি ৪০ লাখ পূর্ণবয়স্ক জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ কোভিড টিকার দুটি ডোজই নিয়েছে এবং ৮৫ শতাংশ অন্তত একটি ডোজ নিয়েছে বলে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
সরকারি তথ্য থেকে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত টিকার সরবরাহ থাকলেও লাখ লাখ লোকের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় পার হয়ে গেছে।
ভারতে শনাক্ত হওয়া অধিকাংশ ওমিক্রন রোগীই সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরেছিলেন। তারপরও চিকিৎসকরা বলছেন, বিদেশ ফেরতদের পাশাপাশি করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরনটি ইতোমধ্যেই স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ছড়ানো শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারত ৮৮৯৫ জন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছে। এদের নিয়ে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। নতুন আরও ২১১ মৃত্যু নিয়ে দেশটিতে মহামারীতে মৃতের মোট সংখ্যা ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে।