দেশের খবর: কক্সবাজারে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় এজাহারভুক্ত দুজনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। শনিবার রাতে এ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃরা ব্যক্তিরা হলেন কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়া গ্রামের রেজাউল করিম (৩০), একই গ্রামের মেহেদী হাসান (২৫) ও চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবনিয়া গ্রামের মামুনুর রশীদ (২৮)। এর আগে হোটেল ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ আলোচিত মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, চট্টগ্রাম ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মোসলেম উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।
ডিআইজি মোসলেম উদ্দিন বলেন, তাদের আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে ধর্ষণকাণ্ডের মূল হোতা আশিক এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভিকটিম পর্যটক নারী দাবি করেন, গত বুধবার সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে যান তিনি। এরপর তাঁরা শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে ওঠেন। সেখান থেকে বিকেলে যান সৈকতের লাবনী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তাঁর স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তাঁর আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তাঁকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে তিনজন। ধর্ষণ শেষে তাঁকে নেওয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে। সেখানে আরেক দফা তাঁকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে হুমকি দিয়ে রুম বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। এর মধ্যে ওই নারী জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক যুবকের সহায়তায় দরজা খোলেন। এরপর ফোন দেন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ। পুলিশ তাঁকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়।