নিজস্ব প্রতিনিধি :
খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে এক মানসিক প্রতিবন্ধিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার রাতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রফিকুল ইসলাম গাজী (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল ইসলাম গাজী শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং সোরা গ্রামের আব্দুল গফুর গাজীর ছেলে।
গাবুরা ইউনিয়নের একটি গ্রামের এক গৃহবধু জানান, প্রথম স্বামীর সঙ্গে তালাক হওয়ার পর মেয়েকে নিয়ে তিনি একই গ্রামের বাপের বাড়িতে অবস্থান করতেন। কয়েক মাস পর ওই গ্রামের একজনের সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ায় মেয়েও তাদের সঙ্গে থাকতো। মেয়েটি মানসিক প্রতিবন্ধি। বৃহষ্পতিবার রাত আটটার পর মেয়েকে বাড়িতে না পাওয়ায় সম্ভাব্য সকল জায়গায়ঢ খোঁজাখুঁজি করতে থাকনে। শুক্রবার ভোরে একই গ্রামের আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে ই¯্রাফিল তাকে জানান যে, তাদের প্রতিবেশি দাউদের স্ত্রী তাসলিমা খাতুনের সঙ্গে গফুর গাজীর ছেলে দুই স্ত্রীর স্বামী রফিক গাজী ও তার (গৃহবধু) মানসিক প্রতিবন্ধি মেয়েকে নতুন বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে দেখেছেন। একপর্যায়ে শুক্রবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে ২০০ হাত দূরে একটি বাড়ির পিছনে তার মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, একই গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে দাউদ গাজী ও তার স্ত্রী তাসলিমা খাবার দেওয়ার কথা বলে তাকে বৃহষ্পবিার রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তার পর নতুন বেড়িবাঁধের পাশের একটি খুপড়ি ঘরে অবস্থান করা রফিক গাজীর কাছে রেখে আসে তাসলিমা। রফিক বিস্কুট ও কেক দেয় তাকে। একপর্যায়ে তাকে সেখানে পেলে কয়েকবার ধর্ষণ করে। পরে তাসলিমা তাকে নিয়ে শুক্রবার ভোরে বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায়।
ওই গৃহবধু আরো জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য ফিরোজ হোসেন বিষয়টি নিয়ে মীমাংসার উদ্যোগ নিলে তিনি পুলিশে খবর দেন। শুক্রবার বিকেলে পুলিশ রফিককে আটক করে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে রফিকুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে দাউদ গাজী ও তার স্ত্রী তাসলিমার নাম উল্লেখ করে শুক্রবার রাতে থানায় ২০০০ সালের সংশোধিত ২০০৩ এর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা(৩৯নং) দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত রফিককে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। একই সময়ে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে বিকেলে বিচারিক হাকিম নয়ন বিশ্বাসের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে। আদালত তাকে মায়ের জিম্মায় দিয়েছে।#