বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নে ৬৭ নং বিল বকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে নিমজ্জিত থাকায় ক্লাশ পরিচালনা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। কোমলমতি শিশুরা হাটু পানি ঠেলে স্কুলে যেতে হিমশিম খাচ্ছে।
ইউনিয়নের বিল অঞ্চলে গড়ে ওঠা গ্রামের মধ্যে অবস্থিত বিদ্যালয়টি অবহেলিত ও বঞ্চিত জনপদের শিশুদের শিক্ষার আলোয় উদভাসিত করতে ভূমিকা রেখে আসছে।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্টির কারনে এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। স্কুলে যাতয়াতের রাস্তাও হাটু পানিতে তলিয়ে গেছে। জরাজীর্ণ ভবনে কর্তৃপক্ষ ক্লাশ পরিচালনা করে আসছে। দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ ভবনে অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মানের দাবীর প্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন ভবন নির্মানের প্রস্তাব গেলেও এখনো ভবন বরাদ্দের কোন ব্যবস্থা হয়নি। জরাজীর্ণ ভবনের ৩টি কক্ষে কোন রকমে ২ শিফটে ক্লাশ চালান হচ্ছিল। কিন্তু প্রায় ২ মাস পূর্ব থেকে বৃষ্টির পানি বাধ সেধেছে। ক্লাশ রুমের মেঝেত এক বিঘত করে পানিতে তলিয়ে থাকায় সেখানে ক্লাশ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তারপরও প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) তৃপ্তি রানীর উদ্যোগে সহকারী শিক্ষক সাদ্দাম হোসেন, জগদীশ মন্ডল ও সৌরভ সরদার পানিতে ভিজে ক্লাশ নিয়ে যাচ্ছেন। পথেঘাটেসহ ক্লাশ কক্ষের মধ্যে পর্যন্ত ব্যাঙ, সাপ, পোকা মাকড়ের আনাগোনা শিশুদের মনে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এছাড়া পানি ঠেলে ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছেনা বা চাচ্ছেনা। ফলে ঠিকঠাক ক্লাশ পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক দীপঙ্কর বাছাড় দীপু জানান, পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থার সমস্যার কারনে অতি বৃষ্টির পানি নিস্কাশন না হওয়ায় এলাকাসহ স্কুলটি পানিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা যেমন স্কুলে যেতে পারছেনা, ক্লাস রুমে বসার পরিবেশ না থাকায় ঠিকঠাক ক্লাশ নেওয়ায় সম্ভব হচ্ছেনা।
৭৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চলমান স্কুলটি এখন থমকে দাড়িয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার বর্মন জানান, বিল বকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মত আরও দুটি বিদ্যালয় জলমগ্ন আছে। এসব বিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পানি নিস্কাশনের জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অবহিত করেছি।