ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না শ্রীলঙ্কার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শুরু হওয়ার আগে কোনও কারণে ফ্লাডলাইট ব্যবহার করা যাবে না সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তাই মেঘাচ্ছন্ন বিকেলে যখন ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৩১ ওভারে জিম্বাবুয়ানদের টার্গেট দাঁড়াল ২১৯, তখন কোনোভাবে সেটা প্রতিহত করতে পারেনি রেকর্ড জুটিতে ৩০০ রান করা শ্রীলঙ্কা।
চার ম্যাচ শেষে ৪ উইকেটে জিতে জিম্বাবুয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে ২-২ ব্যবধানে। আগামী ১০ জুলাই সোমবার হাম্বানতোতার এ মাঠে হবে শেষ ম্যাচ, যেখানে নির্ধারণ হবে কার হাতে উঠছে সিরিজের শ্রেষ্ঠত্ব?
শনিবার মাহিন্দা রাজাপক্ষ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। শুরুটা ছিল অসাধারণ। নিরোশান ডিকবিলা ও দানুশকা গুনাথিলাকার উদ্বোধনী জুটি গড়েন ৩৫.২ ওভারে ২০৯ রান। টানা দুই ম্যাচে কোনও জুটির ‘ডাবল সেঞ্চুরি’র কীর্তি ওয়ানডেতে এটাই প্রথম।
ডিকবিলা সেঞ্চুরি করলেও গুনাথিলাকা তিন অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। ১০১ বলে ৮৭ রানে ম্যালকম ওয়েলারের শিকার তিনি। এ জিম্বাবুয়ান অফ স্পিনার পরের ওভারে ফেরান ডিকবিলাকে। ১১৮ বলে ১১৬ রানের সেরা ইনিংস খেলেন লঙ্কান ওপেনার। শেষদিকে ম্যাথুজের ৪০ বলে ৪২ রান ছিল উল্লেখযোগ্য। ৫০ ওভারে স্বাগতিকরা করে ৬ উইকেটে ৩০০ রান।
ক্রিস এমপোফু ও ওয়েলার জিম্বাবুয়ের পক্ষে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন।
জিম্বাবুয়ে জবাব দিতে নামলে ইনিংসের মাঝপথে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। প্রায় ঘণ্টাখানেক বৃষ্টিতে মাঠ ছিল ঢাকা। তখন ২১ ওভারে জিম্বাবুয়ানদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৩৯ রান। যখন আবার খেলা শুরু হয় তখন ডাকওয়ার্থ লুইসের হিসাব নিকাশ চলে যায় সফরকারীদের অনুকূলে। শেষ ৬০ বলে তাদের দরকার ছিল ৮০ রান, যেটা আরও ৩ উইকেট হারিয়ে অর্জন করেছে জিম্বাবুয়ে। ক্রেইগ আরভিন ৫৫ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে অপরাজিত ছিলেন ৬৯ রানে।
শুরু থেকে জিম্বাবুয়ে ছোটখাটো ঝড় তুলেছে তাদের টপ অর্ডারদের ব্যাটে। সলোমন মির ৩০ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪৩ রান করেন। ২৩ বলে ৫ চারে ৩০ রান করে তারিসাই মুসাকান্দা। শেষদিকে ওয়েলার ১৩ বলে ২০ রান করে জয়টাকে আরও দ্রুত করেন। ২৯.২ ওভারে ৬ উইকেটে তারা করে ২১৯ রান।
শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ক্রিকইনফো