যশোরের কেশবপুরে সানতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুটবল খেলতে চাওয়ায় ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সরকারের বিরুদ্ধে শ্রেণীকক্ষে আটকে ৬ শিক্ষার্থীকে নগ্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত রোববার এ ঘটনা ঘটে। এঘটনার পরে গত সোমবার ওই ৬ শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে না চাইলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি লক্ষণ কুমার হালদারের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন ও এর জন্য ৭২ ঘণ্টার ‘আল্টিমেটাম’ দেন।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রভাত কুমার রায় গতকাল মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সত্যতা পাওয়ায় উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মৌখিক নির্দেশে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে আড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযয়ে বদলি করেন।
অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সরকার জানান, এ প্রসঙ্গে তার কিছু বলার নেই।
অভিভাবক সদস্য জালাল উদ্দীন বিশ্বাস জানান, ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ফুটবল খেলার জন্য বল আনতে যায় প্রধান শিক্ষকের কাছে। এ সময় তিনি তাদের হাতে বল না দিয়ে শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বল খেলতে দেন।
এরপরও তারা বল খেলতে চাইলে এক পর্যায়ে ওই প্রধান শিক্ষক ৬ শিক্ষার্থীকে একটি শ্রেণীকক্ষে ডেকে প্যান্ট খুলে নগ্ন হতে বলেন।
শিক্ষার্থীরা প্রথমে অপারগতা প্রকাশ করলেও পরে প্রধান শিক্ষকের হুকুমে বাধ্য হয় নগ্ন হতে। শিশু শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী জানালার ফাঁক দিয়ে এ দৃশ্য দেখে ও ঘটনার কথা জানায়। এতে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন।
অভিভাবক হাসান আলী জানান, ওই প্রধান শিক্ষক কোনো শিক্ষার্থীকে স্কুলের টয়লেট ব্যবহার করতে দেন না। কারও বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হলে সেই শিক্ষার্থীকে সরাসরি বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হতো।