ভিন্ন স্বাদের সংবাদ : মানুষ দ্বিপদ প্রাণী এটা আমাদের সবার জানা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, তুরস্কে এমন একটি পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে, যে পরিবারের পাঁচ সদস্য হাঁটার জন্য শুধু দুই পা নয়, দুই হাত আর দুই পা এক সঙ্গেই ব্যবহার করে। দক্ষিণ তুরস্কের হাতাই প্রদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে উলাস নামের এই কুর্দিশ পরিবারটির সন্ধান মিলেছে যে পরিবারের ছ’জন চতুষ্পদ। কেউই দুই পায়ে হাঁটতে পারেন না। তাদের হাঁটতে হলে পায়ের পাশাপাশি দুই হাত ব্যবহার করে হাঁটতে হয়।
গবেষকদের মতে, ওই পরিবারটি না-কী মানুষের উল্টো বিবর্তনের উদাহরণ। কিন্তু এমনটা কেন হবে, তা নিয়ে এখনো গবেষণা জারি। অপর পক্ষের মতে এটা জিনগত কোন ত্রু টি যা বংশানুক্রমিক ভাবে এসে থাকতে পারে। এই চতুষ্পদ পরিবার দেখে মনে হচ্ছে তারা বানরের মতই ভঙ্গি করে হাটছেন। তুরস্কের ওই পরিবারটি মূলত পাঁচ ভাই বোনের। তাদের বয়স ১৯ থেকে ৩৫ এর মধ্যে। বিজ্ঞানীরা ২০০৫ সালে ওই পরিবারটি সম্পর্কে প্রথম জানতে পারেন। এরপর থেকেই বিজ্ঞানীরা এই পরিবারটি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা শুরু করেন।
বিজ্ঞানীদের দাবি করেছেন, এই পরিবারটি উল্টো বিবর্তনের উদাহরণ। হনুমান জাতীয় প্রাণী থেকে মানুষের উদ্ভব এই তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই বিজ্ঞানীরা এই দাবি করছেন। উলাস পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা সব সময় সোজা হয়ে থাকতে পারেন না, এই ক্ষেত্রে তাদের ভারসাম্য নষ্ট হয়। আর হাঁটার সময় তারা দুই পায়ে ভর দিয়ে মোটেই হাঁটতে পারেন না। তাদের এই ক্ষেত্রে অবশ্যই দুই হাত ব্যবহার করে চার পায়ে হাটতে হয়।
‘উল্টো বিবর্তন’ বিষয়টিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন তুরস্কের বিজ্ঞানী-গবেষক উনার ট্যান। তার মতে, এই পরিবারটি হাঁটা সংক্রান্ত এক প্রকার বিরল রোগে আক্রান্ত। তাদের ভাষা এবং মস্তিষ্কের গড়নও আর দশজন স্বাভাবিক মানুষের মতো নয়। তবে পোশাক পরতেও কোনও সমস্যা নেই এই ভাই-বোনদের। তাদের চিন্তা চেতনাও অনেকটা স্বাভাবিক। শুধু সমস্যা হাঁটা-চলার ক্ষেত্রেই। তিনি এই রোগের নাম দিয়েছেন ‘উনার ট্যান সিনড্রোম’।
পূর্ববর্তী পোস্ট