স্বাস্থ্য ও জীবন : কাঁঠাল ফলটি বেশ রসালো আর মিষ্টি। তবে কাঁঠালের বিচিও সবজি হিসেবে বেশ সমাদৃত। মাছ-মাংসসহ অনেক তরকারিতে কাঁঠালের বিচির ব্যবহার খাবারের স্বাদের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অনেকে কাঁঠালের বিচি ভেজে খান আবার অনেকে সেদ্ধ করে পেঁয়াজ মরিচ মাখিয়ে ভর্তা করেও খান। যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন এর রয়েছে অনেক গুণ।
পুষ্টিবিদরা গবেষণায় দেখিয়েছেন, কয়েক রকমের আলসারের বিরুদ্ধেও জোর লড়াই করার মতো শক্তি আছে কাঁঠাল বিচির। এছাড়া এটি শরীরের ম্যাজমেজে ভাব এবং হজমের গোলমাল তাড়াতে দারুণভাবে কার্যকর। কাঁঠালের বিচি তরকারির মধ্যে আলুর বিকল্প হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়।
প্রতি ১০০ গ্রাম বিচিতে পাওয়া যায় প্রায় ১৩৫ কিলো ক্যালরি। এটি কমপ্লেক্স কার্বো হাইড্রেটের একটি দারুণ উৎস। এছাড়া ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন এ, সি এবং কয়েক প্রকার ভিটামিন বি পাওয়া যায় কাঁঠাল বিচির মধ্যে। এর বাইরেও এটি আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক এবং ফসফরাসও যোগান দিতে পারে। কাঁঠালের বিচিতে আছে লিগনান্স, আইসোফ্লেভোনস এবং স্যাফোনিন্স। এদেরকে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট বলা হয়ে থাকে। এগুলোর স্বাস্থ্যগত উপকারিতা অনেক। এদের আছে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা। এছাড়া দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষাকারী শক্তি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারে এসব উপাদান। এগুলো আবার এন্টি অক্সিডেন্ট। ফলে শরীরের অনেক জটিল রোগের উপকারও করতে পারে কাঁঠালের বীজের মধ্যে প্রাপ্ত উপাদানগুলো।
পূর্ববর্তী পোস্ট