শেখ হাসিনার মানবিকতাবোধ অজানা নয় কারও। সরকারের প্রধান হয়েও তিনি মূহুর্তের জন্য ভুলে যান না তার মাতৃ সত্তার কথা। আর তাইতো তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন সাতক্ষীরার শিশু মুক্তামনির জন্য চকলেট পাঠালেন।
উল্লেখ্য, শনিবার মুক্তামনির হাতের অপারেশন করবেন চিকিৎসকরা। অপারেশনের আগে মুক্তামনিকে স্নেহাশীষ সরূপ এ চকলেট পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে এ উপহার পেয়ে আবেগাপ্লুত ছিল মুক্তামনি।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে বার্ন ইউনিটে গিয়ে মুক্তামনির হাতে চকলেটগুলো তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ডা. জুলফিকার লেনিন।
গত ১২ জুলাই বিরল রোগ নিয়ে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি হয় সাতক্ষীরার মুক্তামনি। পরীক্ষা করে রোগটি লিমফেটিক ম্যালফরমেশন বলে শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা। এ রোগে তার এক হাত ফুলে গিয়ে দেহের চেয়েও ভারী হয়ে গেছে। সাদা রঙের শত শত পোকা ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই ফুলে যাওয়া অংশে। চার বছর ধরে এই ‘বোঝা’ বয়ে বেড়াচ্ছে ১১ বছরের ছোট্ট শিশুটি। আগামীকাল শনিবার (১২ আগস্ট) তার হাতে অপারেশন করা হবে। বার্ন ইউনিটে ভর্তির পরই মুক্তামনির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চকলেট নিয়ে মুক্তামনির কাছে যাওয়ার বিষয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডা. জুলফিকার লেনিন বলেন, ‘আমি ব্যায়াম করছিলাম। এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খবর পাঠালেন। তিনি বললেন, পরশু (শনিবার) মুক্তামনির অপারেশন। তিনি আমাকে মুক্তামনির জন্য চকলেট নিয়ে যেতে বলেন। অপারেশনের আগে শিশুটি যেন মানসিকভাবে শক্ত থাকে, ওর মন যেন খুশি থাকে, সেজন্যই প্রধানমন্ত্রী আমাকে ওর কাছে উপহার দিয়ে পাঠান।’ ডা. লেনিন বলেন, ‘পরশু দিন অপারেশন, সে কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রী ওর খুশি থাকার কথা চিন্তা করেছেন, এটা তো বিশাল ব্যাপার।’
প্রধানমন্ত্রী কিছু টাকাও দিয়েছেন, যা মুক্তামনির বাবার কাছে দিয়েছেন ডা. লেনিন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী সবসময় মুক্তামনির চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছেন। তার জন্য দোয়া করছেন।