ন্যাশনাল ডেস্ক : মুক্তামণির ঈদ ভালোই কেটেছে বলে জানিয়েছেন মুক্তামণির বাবা ইব্রাহিম হোসেন। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে সারা দিন ডাক্তার, সাংবাদিকের আনাগোনা ছিল। বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক সামন্ত লাল সেন স্যার আসছেন। মুক্তামণি অনেক কথা বলছে স্যারের সাথে। স্যারের ফোন দিয়া মুশফিকুর রহিম কথা বলছে মুক্তামণির সাথে। ঈদ মোবারক বলছেন মেয়েকে।’
সন্ধ্যায় মুঠোফোনে কথা হয় ইব্রাহিম হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে সেমাই, পোলাও দিছে। আমার কিনে দেওয়া নতুন জামা গায়ে দিছে মেয়ে। আল্লাহর রহমতে ভালোই কেটেছে ঈদ। বাড়িতে থাকলে ঈদের নামাজ পড়ার পর ঘরে ফিরে মেয়ের মুখ দেখে মন খারাপ করা ছাড়া আর কিছু করার থাকত না। এখানে সবাই এসেছে, মেয়ের মনও ভালো ছিল।’
ইব্রাহিম বলেন, ‘মেয়ে ভালো হয়ে যাবে, এই প্রত্যাশার চাইতে ঈদের আনন্দ তো আর বড় না। জীবনে ঈদের আনন্দ তো অনেক করা যাবে।’
আবুল বাজনদার
আবুল বাজনদারের ঈদও ভালো কেটেছে। পরিবার নিয়ে ঘুরেফিরে কাটিয়েছেন তিনি। মোবাইলে তিনি বলেন, ‘ঈদ ভালোই কেটেছে। সাংবাদিক ফজলুল বারীর বন্ধু কাজী বাহার ভাই আসছেন, বাইরে ঘুরাইতে নিয়া গেছেন, চা-টা খাইছি। কেবিনে সেমাই রান্না করছিলাম। হাসপাতাল থেকেও সেমাই দিছে, বাহার ভাইও সেমাই আনছিলেন। দুপুরে হাসপাতাল থেকে দিসে পোলাও, মুরগি, ডিম আর সেভেন আপ। রাতেও এই খাবার দিব। মেয়েটার জন্য একটা ফ্রক কিনছি। বাহার ভাই আমারে প্যান্ট আর পাঞ্জাবি দিছে। বউরে দিসে একটা জামা। সেন স্যারের (সামন্ত লাল সেন) অনুমতিতে বউ-বাচ্চা নিয়া টিএসসিসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছি।’
বাজনদার বলেন, ‘কুরবানির ঈদে কুরবানির গোশত খাইতে ইচ্ছা করে। কিন্তু হাসপাতালে তো আর সেই সুযোগ নাই। তবে কয়দিন পরে বাড়িত থেকে কুরবানির গোশত নিয়া আসবে, তখন বউ বাচ্চারা খাইতে পারব।’
দুই বছরে বাজনদারের এইবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এটি ছিল চতুর্থ ঈদ।
সমাজকর্মী কাজী বাহার জানান, তিনি শুধু দুপুরে একটু নিজের বাসায় গিয়েছিলেন, এ ছাড়া বলতে গেলে সারা দিনই বাজনদারের পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে আবার বাজনদারকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন। বাজনদারের পরিবারের সঙ্গে সাংবাদিক ফজলুল বারীর মাধ্যমে তাঁর পরিচয়।
তোফা ও তহুরা
তোফা ও তহুরার ঈদ কেটেছে ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায়। বন্যার কারণে তাদের ঈদের আগে বাড়ি ফেরা হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হানিফ। তিনি বলেন, বিভাগের অধ্যাপক সাহনূর ইসলামের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই পরিবারটি আত্মীয়ের বাসায় ঈদ কাটিয়েছে। ঈদের পরে তোফা ও তহুরাকে ছুটি দেওয়ার কথা।