বয়স মাত্র ৯ মাস। আর ওজন ৩০ কেজি।
অবিশ্বাস্য শোনালেও এটাই বাস্তব মেক্সিকোর লুইস ম্যানুয়েলের জীবনে। এখনও ঠিক করে কথাও বলে উঠতে পারে না ছোট্ট শিশুটি। কিন্তু ক্রমাগত বেড়ে চলেছে তার ওজন। আর সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে খিদে। সাধারণ শিশুদের থেকে প্রায় ছয় গুণ বেশি খাবার খায় লুইস। আর তাকেই পৃথিবীর সবচেয়ে ভারি শিশু বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, জন্ম থেকেই বিরল প্র্যাডার উইলি সিনড্রোমে আক্রান্ত লুইস। এমন শিশুদের ওজন জন্ম থেকেই বেশি হয়। সাধারণ শিশুর থেকে অনেক বেশি খিদে পায় এদের।
ফলে ওজনও সমানতালে বাড়তে থাকে। জন্মের কয়েকদিন পরই লুইসকে দুই বছরের শিশুর পোশাক পরাতে হয়েছে। এখন তার জন্য ৯ বছরের শিশুর পোশাক কিনতে হয় বলে জানিয়েছেন তার বাবা-মা। লুইসের খাবারের জন্যও প্রচুর অর্থ খরচ করতে হয় তাদের। এদিকে তাদের আর্থিক অবস্থা মোটেও ভালো নয়। অগত্যা পাড়া-প্রতিবেশীর সাহায্যের ভরসায় থাকতে হয়।
গবেষকদের মতে, জিনবাহিত রোগ প্র্যাডার উইলি সিনড্রোম। এর কোনও নিরাময় নেই। এই ধরনের শিশুদের আয়ু খুবই কম হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ওজনের ভার সইতে পারে না এদের শরীর। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। শতকরা প্রায় ৯০ শতাংশ। কিছুদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে স্থূলকায় মহিলা ইমান আহমেদ।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয় ইজিপ্টের আলেকজান্দ্রিয়ার বাসিন্দার। বহু চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা। লুইসের ক্ষেত্রেও তেমনটাই আশঙ্কা করছেন মেক্সিকোর চিকিৎসকরা। কিন্তু এখনও ছেলের বাঁচার আশা রাখছেন লুইসের বাবা-মা। ছেলেকে আরও ভালো চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন তারা।