বিশ্বের হাই-প্রোফাইল কোচদের একজন টম মুডি। বিপিএলে রংপুর রাইডার্সকে কোচিং করাবেন এবার। অস্ট্রেলিয়ান কোচের দলটির নেতৃত্বে থাকছেন তিনবার বিপিএলের শিরোপা উঁচিয়ে ধরা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। সেটা নির্ভারতাই যোগাচ্ছে মুডিকে। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন তিনি।
দল প্রসঙ্গে অনেক কথার মাঝে তাই মুডির কণ্ঠে ঝরল মাশরাফী বন্দনাও, ‘শুধু এ দেশেই নয়, সারাবিশ্বেই মাশরাফী সম্মানিত একজন। মাশরাফী অনেক অভিজ্ঞ। আগে তার সঙ্গে কাজ করা হয়নি। আমি তার সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি।’
বুধবার মিরপুরের একাডেমি মাঠে প্রথমবার অনুশীলন করেছে রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটাররা। সাউথ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ খেলে ফেরা মাশরাফী ছিলেন না অনুশীলনে। স্থানীয় ক্রিকেটাদের বাকি সবাই অবশ্য ছিলেন। শাহরিয়ার নাফীস, আব্দুর রাজ্জাক, সোহাগ গাজী, ইলিয়াস সানি, শামসুর রহমান শুভর মত অভিজ্ঞরা ছিলেন।
অভিজ্ঞতায় পুষ্ট একটি দল দেখে খুবই খুশি মুডি, ‘যেকোনো ফরম্যাটেই খেলুন না কেন, অভিজ্ঞতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার জন্য ভাল যে মাশরাফী ছাড়াও দলটাতে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, অভিজ্ঞতা ও ক্রিকেটীয় জ্ঞান তারা কতটা পুরো দলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারে।’
বিদেশি ক্রিকেটার সংগ্রহেও সবার চেয়ে এগিয়ে রংপুর। টি-টুয়েন্টি স্পেশালিষ্ট ক্রিস গেইল, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, লাসিথ মালিঙ্গা খেলবেন রংপুরের হয়ে। বড় নামের খেলোয়াড় টানতে পারায় বিপিএলের প্রশংসা করলেন মুডি, ‘শুধু আমাদের দলই নয়, সব দলেরই সামর্থ্য আছে। এটাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সার্থকতা। এটা এমন একটা টুর্নামেন্ট যেখানে বেশকিছু সেরা খেলোয়াড় আছে।’
ভারত ও শ্রীলঙ্কায় কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলেও বাংলাদেশে এবারই প্রথম কাজ করতে এসেছেন ৫২ বছর বয়সী মুডি। চ্যালেঞ্জ নিতে উৎসাহী বলেই বিপিএলে কাজ করতে আগ্রহী হয়েছেন, ‘আমি সবসময়ই উপমহাদেশে কাজ করতে পছন্দ করি। ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব নিয়েছিলাম। আমি সহজেই অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে স্বস্তিদায়ক পরিবেশে কাজ করতে পারতাম। কিন্তু ভিন্ন পরিবেশ ও সংস্কৃতিতে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। শ্রীলঙ্কা এবং আইপিএলে সময়টা উপভোগ করেছি।’
এক মৌসুম আগেই বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সানরাইজার্স হায়দরাবাদ মুডির কোচিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। অভিজ্ঞ এই কোচ এবার রংপুর রাইডার্সের ডেরায়। শিরোপার স্বপ্ন তো দেখতেই পারে রংপুর!