নিজস্ব প্রতিবেদক : দেবহাটায় এডিপি প্রকল্পের আওতায় ৩০ জন দুঃস্থ অসহায় মহিলার কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বরাদ্দকৃত ১ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার পর নানামূখী চাপে সেই টাকা ফেরত দিতে হয়েছে দেবহাটা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন। টাকা ফেরত দেওয়ার শোক সহ্য করতে না পেরে তিনি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন ও তার সহচর মুন্না দেবহাটা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারকে লাঞ্চিত করার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসের স্টাফরা এগিয়ে আসলে ভাইস চেয়ারম্যান খোকন গালিগালাজ করতে করতে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস থেকে বেরিয়ে যান।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
দেবহাটা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার জানান, ‘এডিপি প্রকল্পের আওতায় ৩০ জন দুঃস্থ, অসহায় মহিলার কর্মসংস্থান সৃষ্টি তথা জীবনমান ও ভাগ্য উন্নয়নে সাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াসে ২০১৬ অর্থবছরে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কিন্তু ওই প্রকল্পের সরকারী বরাদ্দকৃত ১ লক্ষ টাকা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন উত্তোলন করেন এবং পরবর্তীতে সেই টাকা অসহায় মহিলাদের না দিয়ে তিনি হজম করে ফেলেন। বিষয়টি আমি অন্তত ১০ বার উপজেলা স্বমন্বয় কমিটির সাধারণ সভা ও স্টান্ডিং কমিটির সভায় উপস্থাপন করেছি। ওই ১ লক্ষ টাকা ফেরত চাওয়া হলে ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন আত্মসাতকৃত অর্থ ফেরত না দিয়ে সুদীর্ঘ তালবাহানা শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে নারাজ হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও তার সহচর আমার অফিসে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিতে থাকেন এবং জোর করে তালিকা করানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে আমার অফিসের স্টাফরা এগিয়ে এসে মারমূখী হলে তিনি ও তার সহচরেরা আমাকে গালিগালাজ করতে করতে চলে যান।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আব্দুল গনি বলেন, এডিপি প্রকল্পের ১ লক্ষ টাকা তিনি মহিলাদের না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। তাকে বার বার টাকা ঢেরৎ দেওয়ার কথা বলা হলেও তিনি এ ব্যাপারে কোন কর্ণপাত করেননি। তাই বাধ্য হয়ে আমি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে বরাদ্দকৃত টি এ ডি এর ৮৮ হাজার টাকা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীনের কু-পরামর্শে ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে যেয়ে গালিগালাজ করেন।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যা মাহবুব আলম খোকন অভিযোগের বিষয়টি আংশিক স্বীকার করে বলেন, প্রকল্প ও টাকা নিয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছেন।