লক্ষ্যটা খুব একটা কঠিন ছিল না। শুরুর জোড়া আঘাতে পরিস্থিতি একটু ঘোলাটে হয়েছিল এই যা। শেষ পর্যন্ত সহজ লক্ষ্য সহজেই পেরিয়ে গেছে খুলনা টাইটানস। টানা তিন ম্যাচ জিতে উড়তে থাকা সিলেট সিক্সার্সকে মাটিতে নামিয়ে মাহমুদউল্লাহরা পেয়েছে চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম জয়। সিলেটের ৫ উইকেটে করা ১৩৫ রানের জবাবে খুলনা ১২ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে ৪ উইকেট হারিয়ে। যাতে ৬ উইকেটের জয়ে সিলেট পর্ব শেষ করল খুলনা।
ভয়ই পাইয়ে দিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম! এই স্পিনার খুলনার ব্যাটসম্যানদের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন ত্রাস হয়ে। বোল্ড করে তিনি ফেরান দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত (৭) ও চ্যাডউইক ওয়ালটনকে (১১)। দুই বলের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর খুলনার হাল ধরেন মাইকেল ক্লিঙ্গার। খানিক সময় সঙ্গ দিয়েছেন তাকে রাইলি রোসো। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটসম্যান রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন ক্রিসমার সান্তোকির হাতে। উইকেট শিকারি সেই তাইজুল। ৪৩ রানে খুলনার হারানো ৩ উইকেটের সবটাই এই স্পিনারের।
সিলেটের আশার পালে হাওয়া লেগেছিল তখন খুব। যদিও সেটা স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গী নিয়ে জয়ের পথটা তৈরি করেন ক্লিঙ্গার। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ২৭ রান করে আউট হলেও হার না মানা ৪৭ রানের ইনিংস খেলে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন ক্লিঙ্গার। ৩৬ বলে ৫ বাউন্ডারিতে সাজানো তার ইনিংসটির চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয় কার্লোস ব্রাথওয়েটের ইনিংসটি। মাঠে নেমে ১৬ বলে হার না মানা ২৩ রানের ইনিংস খেলে খুলনার জয়টা আগেভাগে নিশ্চিত করেছেন ক্যারিবিয়ান এই অলরাউন্ডার।