ঘরে গাছপালা রাখা বেশ ক্ষতিকর হতে পারে অনেকেরই এমন ধারনা। কারণ রাতের বেলা গাছ থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড বের হয় আর অক্সিজেন সংরক্ষণ করে। দেখা গেছে যে পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড বের হয়, আর অক্সিজেন নেয় তা এতটাই কম যে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না।
সত্যি কথা বলতে‚ বাড়িতে গাছপালা রাখা বেশ ভাল। কারণ এরা ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখে। দেখা গেছে হাউজ প্ল্যান্টস মাইক্রো অরগ্যানিজম ছাড়ে যা দূষণ। এমনকী দেখা গেছে এমন কিছু গাছ আছে যা বেডরুমে রাখলে ভালো ঘুম হয়। আপনাকে সহজেই ঘুম পাড়িয়ে দেবে এবং একই সঙ্গে গভীরভাবে ঘুমোতে সাহায্য করবে এমন কিছু গাছের সন্ধান দিব আজ।
১। জেসমিনঃ জেসমিন বা জুঁই ফুল ডিপ্রেশন কমায়‚ শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং উৎকন্ঠা কমায়। এছাড়াও দেখা গেছে জুঁই ফুলের গন্ধে গভীর ঘুম আসে। তবে জুঁই ফুলের গাছ খুব দ্রুত বাড়ে তাই মাঝে মধ্যেই কিন্তু এই গাছ ছেঁটে দিতে হবে। একই সঙ্গে রোজ ২-৩ ঘন্টা রোদেও রাখতে হবে।
২। স্নেক প্ল্যান্টঃ খুব সহজেই এই গাছ পাওয়া যায়। নাম শুনে আবার ভয় পাবেন না। এই গাছ ঘরের মধ্যে ক্ষতিকারক টক্সিন তাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই গাছ রাতের বেলা কার্বন ডাই অক্সাইড নেয় আর অক্সিজেন ছাড়ে। যাদের অ্যালার্জি হয়েছে বা যাদের ব্রিদিং ট্রাবল আছে তাদের জন্য বিশেষ করে এই গাছ খুব ভাল।
৩। ল্যাভেন্ডারঃ ল্যাভেন্ডার শরীর রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে। রক্তচাপ কমায় আর হার্ট রেট কমিয়ে দেয়। এছাড়াও শরীরে স্ট্রেস হর্মোন Cortisol কমাতেও সাহায্য করে। একই সঙ্গে রক্ত চলাচলেরও উন্নতি ঘটায়। এমনকি দেখা গেছে এই গাছ বাচ্চাদেরও দ্রুত ঘুমিয় পড়তে সাহায্য করে।
৪। রোজমেরিঃ বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য এই হার্বের ব্যবহার হয়। কিন্তু অনেকেই জানে না রোজমেরি আপনাকে ঘুমিয়ে পারাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও দেখা গেছে রোজমেরি নার্ভাস সিস্টেম‚ হার্ট ভালো রাখতেও সাহয্য করে। এখানেই শেষ নয়‚ স্ট্রেস কমানোতেও জুড়ি নেই রোজমেরি গাছের।