স্বাস্থ্য ও জীবন : শিম শীতকালীন সবজি হিসেবে পরিচিত। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেল। যারা সরাসরি প্রোটিন খান না অর্থাৎ মাছ, মাংস খাওয়া হয় না, তাদের জন্য শিমের বিচি শরীরে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পারে। যাদের আমিষ খাওয়ায় সীমাবদ্ধতা আছে, তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন। শিম পরিপাকের জন্য খুব ভালো। এ ছাড়া শরীর ঠান্ডা রাখে। শিমে ক্যালোরির পরিমাণও বেশ কম। বড় আকারের শিম রুচিকর। এছাড়া বাতব্যথা, ক্ষুধা ও মুখের স্বাদ বাড়ায় এ সবজিটি।
কোনো কিছু কামড়ালে শিমপাতার রস দিনে দুবার করে তিন দিন করে লাগালে আরাম পাওয়া যায়। শিমের মধ্যে থাকা খনিজ চুল পড়া রোধ করে। এ ছাড়া চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও ভূমিকা রাখে।
নিয়মিত শিম ত্বকে মাখলে উজ্জ্বল ও নরম থাকে ত্বক। চর্মরোগও উধাও হয়। শিমের পুষ্টিগুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শিম কোলন ক্যানসার প্রতিরোধেও কার্যকর। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য আক্রান্তদের জন্যও উপকারী সবজি।
যে জ্বরে জিভে চটচটে একটি প্রলেপ পড়ে থাকে, মাঝে মাঝে ঝিমুনি, অরুচি অথচ পিপাসা থাকে, আবার মাঝে মধ্যে শীত শীত করে। এ অবস্থায় শিমের বীজ বালিতে ভেজে, খোসা ছাড়িয়ে গুঁড়ো করে নিতে হয় এবং সে গুঁড়ো ৫০০ মিলিগ্রাম মাত্রায় এক কাপ গরম পানিতে ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার করে কয়েক দিন খেতে হয়।
নাক দিয়ে রক্ত পড়া হলো সাময়িক ও ঊর্ধ্বগত রক্তপি-ের লক্ষণ। এ সময় গোটা শিমের বিচি গুঁড়ো করে ৫০০ মিলিগ্রাম মাত্রায় ঠান্ডা পানিতে দিয়ে সকাল ও বিকেলে খেতে হয়। তাতে এ রোগ সেরে যায়। আমিষের ঘাটতি হলে শিম ও শিমের বিচি খেলে তা পূরণ হয়।
প্রচ- ঠান্ডায় কান ও গলা ফুলে গেলে এবং তাতে জ্বালা-যন্ত্রণা করলে শিম পাতার রসের সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। এতে চুন মিশিয়ে প্রলেপ দিলে আরো বেশি ফল মেলে।
শিম কেন খাবেন
পূর্ববর্তী পোস্ট