নিজস্ব প্রতিবেদক : দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের গণমানুষের নেতা ভূমিহীন আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ সাইফুল্লাহ লস্করের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন নাগরিক কমিটির সভাপতি আনিসুর রহিম। বক্তব্য রাখেন, জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, জে,এসডির সাধারণ সম্পাদক শুধংশু সরকার, জেলা জাসদের সমন্বয়ক এ্যাড. আজাদ হোসেন বেলাল, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলা ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি এড. ফাহিমুল হক কিসলু, জাসদের সাধারণ সম্পাদক মো: ইদ্রিস আলি, সিপিবির সভাপতি আবুল হোসেন, জেলা ভূমিহীন সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাইফুল্লাহ লস্কর হত্যার বিচার বারবার বাধা গ্রস্থ করা হচ্ছে। যদি তার হত্যার বিচার না হয় তবে সাতক্ষীরার সকল মানুষদের নিয়ে গনআদালত গঠন করে সাইফুল্লা লস্করের হত্যার সাথে যে সব ভূমি দস্যু ও প্রশাসনের যে সব কর্মকর্তা জড়িত তাহাদের বিচার করা হবে। সাইফুল্লাহ লস্কর ছিলেন র্নিলোভ একজন ব্যক্তি। তিনি সব সময় ভূমিহীন, কৃষক, শ্রমিক মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের মূল চালক তার হত্যার সাথে যেসব ব্যক্তি জড়িত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। সাইফুল্লাহ লস্কর কখনো নিজের জন্য ভাবতেন না। কৃষক ও ভূমিহীনদের জন্য জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করেছেন। তিনি কখনো মৃত্যুকে ভয় পাননি। তিনি সব সময় সাধারণ মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন। অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে তাদের স্বাবলম্বী করে দিয়েছেন। সমাজ বদলের কাজ করতে যেয়ে তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন। তাই তার খুনিদের সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে বর্জন করার আহবান জানান।
বক্তারা আরো বলেন, সাইফুল্লাহ লস্কর ছিলেন, একজন আদর্শবাদী ত্যাগী নেতা। তার নেতৃত্বে ভূমিহীনরা সুসংগঠিত ছিল। তার কারনে জায়েদানগর, বৈরাগীর চক, চিংড়ী খালী, বসুখালী, ইসলামপুর, নোড়ারচক, রহমতপুর, যমুনার চরসহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার ভূমিহীনদের মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছিল। তিনি ছিলেন সমাজ গড়ার কারিগর। বক্তারা এ সময়, অবিলম্বে সাইফুল্লাহ লস্কর হত্যার মামলার দ্রুত বিচার দাবী করেন।
এর আগে স্বরণসভার শুরুতেই সাইফুল্লাহ লস্করের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে তার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সাইফুল্লাহ লস্করকে ২০০৯ সালে ৪ ঠা ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ভূমিদ্যুরা প্রশাসনের সহায়াতায় নির্মমভাবে হত্যা করে। এই ঘটনার পর পর সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষ আন্দোলন শুরু করলে প্রশাসন দুই একজনকে গ্রেফতার করলেও মূল হত্যার পরিকল্পনাকারীদের কাউকে পুলিশ গ্রেফতার না করে হত্যা মামলাটি হিমাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে।