গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য। তার এই বক্তব্যের জন্য তাকে (প্রধানমন্ত্রী) ক্ষমা চাইতে হবে। তা নাহলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, অন্যায় ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল গণভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে কল্পিত সম্পদের বিবরণ প্রকাশ করেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তার এ বক্তব্যের মূল উদ্দেশ্য হল এ দেশে বেগম খালেদা জিয়ার ভাবমূর্তি বিনষ্টকরা, জনগণের কাছে তাকে হেয় করা। কল্পিত এই বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনদিত, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কম্বোডীয়া সফর শেষে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মমেলনের প্রতিক্রিয়া জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী বিএনপির দুর্নীতি অর্জিত সম্পদ যা সৌদি আরবের শপিং মলে বিনিয়োগ করা হয়েছে। কাতারে ইকরা নামে একটি বহুতল ভবন তৈরি করা হয়েছে। বিএনপির এ ক্ষেত্রে মালিকানার অর্থ প্রায় ১২ বিলিয়ন যা (বাংলাদেশি টাকায় একলাখ কোটি টাকা) বাংলাদেশের অনেক গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ পায়নি। তাই গণমাধ্যমকে তিনি শিষ্টাচার বর্হিভূত বলেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এসব বক্তব্য বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য নয়। শেখ হাসিনা বিএনপির বিরুদ্ধে দেয়া দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা তন্ন তন্ন করে আজ পর্যন্ত খুঁজে পায়নি। জোর করে গণমাধ্যমে প্রকাশ শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও দেওলিয়াত্ব প্রমান করে। বানোয়াট এসব তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অবিলম্বে এ বক্তব্য প্রত্যাহার করে খালেদা জিয়া ও জাতীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এবং ভবিষ্যতে এমন মিথ্যা মন্তব্য না করার জন্যেও আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, কাচের ঘরে বসে অন্যের ঘরে ঢিল ছুড়বেন না। আপনাদের লুটপাটের যে হিসাব তা জনগণ জানে। আপনার মুখে সুনীতি এবং সুশাসনের কথা বেমানান। বেগম খালেদা জিয়া ও তার সন্তানদের ভাবমূর্তি নষ্ট করা থেকে বিরত থাকুন। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হব।
প্রধানমন্ত্রী কানাডার গণমাধ্যমের যে তথ্য দিয়েছেন আমরা গুগলে সার্চ দিয়ে দেখেছি, সৌদিতে যোগাযোগ করেছি কিন্তু এ তথ্যের কোনো অস্তিত্ব পায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন।