কম বেশি সকলের কাছেই ফুচকা একটি বেশ জনপ্রিয় খাবার হিসেবে পরিচিত। মুখরোচক ও সুস্বাদু হিসেবে পরিচিত এ খাবারটি ছোট বড় সকলের মন জয় করেছে। তবে এই ফুচকা খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এটি তৈরিতে অনেকসময় বিস্তর অভিযোগ শোনা যায়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রায় সময় প্রচারিত হয় অস্বাস্থকর পরিবেশে ফুচকা তৈরির অভিযোগ।
এর আগে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের একটি রাজ্যে ফুচকার তেতুলের টকের সাথে টয়লেট ক্লিনারের তরল মেশানোর অভিযোগে এক দোকানীকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দেশটির গুজরাটে চেতন নানজি মারভাদিকে এই দণ্ড দেয় আদালত।
২০০৯ সালে চেতনের বিরুদ্ধে এই সংক্রান্ত অভিযোগে বিশেষ আদালতে মামলা দায়ের করে আহমেদাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশেন। ফুচকায় থাকা তেতুলের পানিতে চেতন কিছু মিশিয়ে দেয় বলে আমেদাবাদের লাল-দরজা এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছিলো
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই জল ফুড টেস্টিং ল্যাবোরেটরিতে পাঠায় কর্পোরেশন। তাদের রিপোর্টে দেখা যায় ফুচকার পানিতে মেশানো রয়েছে টয়লেট পরিষ্কার করার অক্সালিক অ্যাসিড। তার পরই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়। চেতন ফুচকা বিক্রির পর অবশিষ্ট জল রাস্তায় ফেলে দিয়ে নোংরাও করতেন বলে অভিযোগ ছিলো স্থানীয়দের।
সাত বছর মামলা চলার পর আদালত চেতনের সাজা ঘোষণা করেন। বিচারচলাকালীন সময়ে বরাবরই নিজেকে নিদোর্ষ প্রমাণ করা চেতন বলে, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই।
আইনজীবি মনোজ খান্ডার আদালতে জানান, চেতন যেটা করেছে সেটা অপরাধ। অনেক মানুষ এর সঙ্গে জড়িত ছিল। সবচেয়ে বড় কথা গোটা বিষয়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি প্রশ্নের মুখে পড়েছিল।