ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে আসন্ন উপ-নির্বাচনের তফসিল স্থগিতের আবেদনকারী আতাউর রহমান বিএনপি নেতা। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও ভাটারা থানার সাধারণ সম্পাদক।
ডিএনসিসির মেয়র পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত নাও হতে পারে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এমন আশঙ্কা ছিল। সর্বশেষ বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে পেশাজীবীদের অনুষ্ঠিত বৈঠকেও এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে সেই আশঙ্কা সত্যি করার কারিগর যে নিজ দলেরই এক নেতা এমনটা চিন্তাও করেনি বিএনপি। দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী আতাউরের নাম পরিচয় না জানলেও যারা জেনেছেন তারা এমন ঘটনায় হতবাক হয়েছেন।
আতাউর রহমানের পরিচয় নিশ্চিত হতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি আহসানুল্লাহ হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি আমাদের কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও ভাটারা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তবে ঢাকা উত্তর সিটির উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে ভেবে সরকারের ইঙ্গিতে তাদের লোক দিয়ে রিট করিয়ে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
এদিকে রিটকারী আবেদনকারী আতাউর ‘বিএনপি নেতা’- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ত্রুটিপূর্ণ তফসিলের কারণেই সংক্ষুব্ধরা রিট করার সুযোগ পেয়েছে। রিটকারী যে কোনো দলেরই হতে পারে। ত্রুটিপূর্ণ তফসিলের জন্য নির্বাচন কমিশনই দায়ী। এটা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের যৌথ প্রযোজনা।
বুধবার ডিএনসিসির মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের তফসিলের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ডিএনসিসির সম্প্রসারিত অংশের কাউন্সিলর নির্বাচনের সার্কুলারের কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার সকালে পৃথক দুটি রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোনো জবাব দেননি তিনি
পূর্ববর্তী পোস্ট