পলাশ দেবনাথ, নুরনগর থেকে: শ্যামনগর উপজেলার নুরনগরের দুরমুজখালী সীমান্ত নদী কালিন্দীর চর থেকে আবু বক্কার নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের কাঠালবাড়ীয়া গ্রামের মোঃ আব্দুল গনি তরফদারের ছেলে আবু বক্কার সিদ্দীক (১৯)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুরমুজখালী গ্রামের নজরুল গাজীর ছেলে ফয়সাল (১২) প্রতিদিনের ন্যায় সীমান্ত নদী কালিন্দীর চরে কাকঁড়া ধরার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছিল। হঠাৎ সে দূরে দেখতে পায় কয়েকটা কুকুর কিছু একটা খাচ্ছে। কাছে গিয়ে দেখতে পায় একটা মানুষের মৃতদেহ। ফয়সাল এলাকার কয়েক জন পথচারীকে জানায়। এর পর দ্রুত এলাকায় এখবর ছড়িয়ে পড়ে এবং শত শত লোক ঐ স্থানে হাজির হয়। সেখানে নিহতের বড় ভাই মোঃ মনিরুল ইসলাম ও হাজির ছিল। সে এই প্রতিবেদককে জানায়, আমার ছোট ভাই আবু বক্কার ৩/৪মাস আগে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিল ইট ভাটায় কাজ করার জন্য। ভাটায় কাজ করা অবস্থায় আবু বক্কার অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বাড়ি ফেরার জন্য গত ৫ই ফেব্রুয়ারি সোমবার দুরমুজখালী সীমান্তের ওপারে চাড়ালখালী এলাকায় এসে বাংলাদেশে পাড়ি দেওয়ার আগে পর্যন্ত মোবাইল ফোনে কথা বলেছে। তিনি আরও বলেন, আমার ভাই বলেছিল, ভারত থেকে ধুড় পারাপারকারী শ্যামনগর উপজেলার বাদঘাটা গ্রামের নেপাল এর মাধ্যমে ৬হাজার টাকা চুক্তিতে বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়ার কথা। আমি তার পর থেকে আর আমার ভাইয়ের মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। এর পর থেকে আমিসহ আমার পরিবারের লোকজন ৫দিন যাবৎ দুরমুজখালী সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় আবু বক্কারকে খুঁজতে থাকি। শনিবার সকাল ১১টার দিকে জানতে পারি আমার ভাইয়ের মৃতদেহ দুরমুজখালী কালিন্দী নদীর চরে পড়ে আছে। এখবর শ্যামনগর থানা পুলিশকে অবহিত করলে শ্যামনগর থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলী তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আসেন এবং লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
পূর্ববর্তী পোস্ট