সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতাদের অতিকথন তাদের ভোট কমাবে। কারণ দুর্নীতিবাজের পক্ষে জনসমর্থন বাড়ে না। প্রতিদিন আওয়ামী লীগের ১০ লাখ ভোট বাড়ছে আর দুর্নীতির জন্য বিএনপির ১০ লাখ করে ভোট কমছে।
শুক্রবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা সফল করতে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
‘খালেদা জিয়াকে একদিন কারাগারে রাখা মানে বিএনপির ১০ লাখ ভোট বৃদ্ধি পাবে, আওয়ামী লীগের ১০ লাখ ভোট কমবে’ মর্মে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘বড় বড় কথা বলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি দেশের রাজনীতির বহুরূপী নেতা, ডিগবাজিতে ওস্তাদ। তিনি এখন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যাচ্ছেন। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, না আস্তে আস্তে অশান্তির ক্ষেত্র তৈরি করছেন? শান্তির কথা বলে জনগণের সহানুভূতি পেতে চান? দেশের মানুষ আপনাদের দুর্নীতির পক্ষে না।’
তিনি বলেন, মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘বেগম জিয়া জেলে থাকলে দৈনিক বিএনপির ১০ লাখ ভোট বাড়ে, আওয়ামী লীগের ১০ লাখ ভোট কমবে।’ এতদিন জানতাম ফখরুল ইসলাম আলমগীর জ্যোতিষ বিদ্যা রপ্ত করেছেন। জানতাম, বিএনপিতে সংখ্যাতত্ত্বের হিসাব একমাত্র ফখরুলই দেন। একবার বলেন আওয়ামী লীগ ২৫ সিট পাবে, আবার বলে ৩০ সিট পাবে। এইভাবে আগামী নির্বাচনের সংখ্যাতত্ত্ব মিলিয়ে দিচ্ছেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, ভোট দেবে দেশের জনগণ, আর জ্যোতিষ ফখরুল একেকবার একেক সংখ্যাতত্ত্ব দিচ্ছেন। এখন দেখি, মওদুদ আহমদও নেমেছেন নতুন জ্যোতিষী হিসেবে। তিনি এখন মাঠে নেমেছেন। ভোট বাড়ার হিসাব দিচ্ছেন। প্রমাণ আছে? আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহীর জনসভায় এর প্রমাণ দেখিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তৃণমূলের কর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। এ তৃণমূলের কর্মীবাহিনী আছে বলেই আওয়ামী লীগ টিকে আছে। এ কর্মীরা কখনো আপোষ করেনি, মাথা নত করেনি। যার প্রমাণ ১/১১। সেদিন কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিল বলে মাইনাস টু ফর্মুলার চক্রান্ত বাস্তাবায়ন হয়নি। সুসময় আমাদের জীবনে খুব বেশি সময়ের জন্য আসেনি। ক্ষমতায় থেকেও আমরা যে সুসময়ে আছি, এ কথা দাবি করার কোনো অবকাশ নেই। এখনও মাঝে মাঝে দুঃসময় আসে।
তিনি বলেন, এখনও সংকটমুক্ত তা বলা যাবে না। এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। তবে এ সময়ে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জনে, তার সততা ও কর্মঠ নেতৃত্বে এতটাই খুশি যে, সারাদেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ। যে কারণে জঙ্গিবাদী শক্তি অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। পুলিশ র্যাব ও সেনাবাহিনীর প্রতিরোধের মুখে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রিত ও দুর্বল। কিন্তু তারা তাদের পথ থেকে সরে যায়নি। তাই সতর্ক থাকতে হবে।