আসাদুজ্জামান: বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেছেন, দুর্যোগপ্রবণ জেলা সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে দারিদ্র বিমোচন ও স্বাস্থ্য সেবায় বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জনগণের কর্মসংস্থান এবং সুপেয় পানিরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পল্লী-কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন প্রকল্পের আওতায় (পিকেএসপি) মানুষ এখন অনেক সুবিধা পাচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে দেশের আইলা ও সিডর উপদ্রুত জেলা সাতক্ষীরার মানুষ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।
ড. খলীকুজ্জামান শনিবার সাতক্ষীরা শ্যামনগরের আইলা উপদ্রুত আটুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে গ্রামের মানুষ কাঁকড়া ও বিভিন্ন জাতের মাছের চাষ করছেন। তারা ঘরে ঘরে হাঁস মুরগি ও গবাদি পশু পালনও করছেন। এ জন্য তারা প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তাও পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এ এলাকার মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বরাবরই বঞ্চিত উল্লেখ করে তিনি বলেন স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা গণমুখী সংস্থার সহায়তায় তাদের মধ্যে নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন এ এলাকা লবণাক্ত হওয়ায় মিষ্টি পানির উৎস হারিয়ে গেছে। জনদুর্ভোগ দূর করতে এসব এলাকায় সুপেয় পানির জন্য বিভিন্ন প্লান্ট বসানো হয়েছে। তারা স্বল্প মূল্যে নিয়মিত খাবার পানি পাচ্ছেন। কৃষি উন্নয়নেও বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ড. খলীকুজ্জামান বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে স্থানীয়দের সাথে মত বিনিময় করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন প্রফেসর ড. জাহেদা আহমেদ, সিইসিডি এর নির্বাহী পরিচালক মিস পাম থাই হং (ভিয়েতনাম), পিকেএসপি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কাদের, গণমুখী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. লুৎফর রহমান, কাশিমাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রউফ, আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু, অধ্যক্ষ একরামুল করিম প্রমুখ।
পূর্ববর্তী পোস্ট