অনলাইন ডেস্ক: তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ২৫ বছর ধরে। স্ত্রীকে বানিয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। একমাত্র ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক। ছেলের শ্বশুর অর্থাৎ বেয়াইকে বানানো হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। আর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাঁর ভায়রা।
এই পারিবারিক রাজনীতির কেন্দ্রে যিনি রয়েছেন সেই তিনি বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। যোগ্যতা থাকুক আর না থাকুক তাঁর চাওয়াতেই জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগ কিংবা সহযোগী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে অনেককে। এর মাধ্যমে প্রভাব খাটিয়ে আয়ের ক্ষেত্র তৈরি করে মালিক হয়েছেন বিপুল বিত্ত-বৈভবের। এমপি শম্ভুর বিরুদ্ধে দলের কেন্দ্রে এ ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির ২৪টি লিখিত অভিযোগ করেছেন খোদ আওয়ামী লীগের স্থানীয় অন্য নেতারা।
সম্প্রতি এমপি শম্ভুর অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাঁকে বয়কট করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সহসভাপতিসহ জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। আর গত ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে এমপি শম্ভুর অনিয়ম-দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ করেন জেলা আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতা। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বরিশাল বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের কাছেও লিখিত অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচবার দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ এ আসন থেকে চারবার এমপি হয়েছেন অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। একবার খাদ্য উপমন্ত্রী এবং আরেকবার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
দলীয় নেতাদেরই অভিযোগ, কতিপয় দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মীর যোগসাজশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী থেকে শুরু করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষক নিয়োগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এমপি শম্ভু। কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) আর টেস্ট রিলিফসহ (টিআর) ৪০ দিনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাধ্যতামূলকভাবে মোট বরাদ্দের এক-তৃতীয়াংশ ঘুষ দিতে হয় তাঁকে। আর তাঁর ছেলে সুনাম দেবনাথ জেলার মাদক কারবারের নেতৃত্ব দিয়ে এরই মধ্যে ‘মাদকসম্রাট’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন এলাকায়।
তা ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়েও পরে উপমন্ত্রী থাকাকালে প্রভাব খাটিয়ে এমপি শম্ভু মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লেখান। ২০০৩ সালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে তিনি সাময়িক সনদ (সনদ নং ম-৩৩৭৭১। স্মারক নং ১৭৮। তারিখ ৪-৮-২০০৩) নেন। তবে মিলিশিয়া ক্যাম্পে তাঁর নাম নেই এবং তাঁকে কেউ মুক্তিযুদ্ধ করতেও দেখেননি বলে মুক্তিযোদ্ধাদেরই ভাষ্য।
দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর লিখিত অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করেন, সর্বশেষ অনুষ্ঠিত পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মেয়র ও চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলীয় নেতাদেরই লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে জেলা সভাপতিকে। ঘুষ না দেওয়ায় দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন সম্ভাবনাময় অনেক যোগ্য নেতা। আবার মনোনয়ন পেয়েও দাবি অনুযায়ী ঘুষ না দেওয়ায় কারচুপির মাধ্যমে তাঁকে পরাজিত করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ সর্বশেষ পৌর নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও এমপি শম্ভুর ‘ওপেন সিক্রেট চক্রান্তের’ কারণে ধনাঢ্য এক ব্যবসায়ীর কাছে পরাজিত হন বলে অভিযোগ। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে উপজেলা, এমনকি জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। জেলা আওয়ামী লীগের গণ্ডি পেরিয়ে যা দলের কেন্দ্রেও ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে আমাকে ঠকানো হয়েছে। অথচ এমপি শম্ভুর সব নির্বাচনে প্রধান এজেন্ট হিসেবে শতভাগ বিশ্বস্ততার সঙ্গে কাজ করে তাঁকে আমরা বিজয়ী করেছি।’
জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজিজুল হক স্বপন বলেন, ‘বরগুনা সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলাম। দলীয় ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে আমাকে সেই নির্বাচনে ঠকানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির চলমান অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সরাসরি দেখা করে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা সবাই এখন প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছি।’
আওয়ামী লীগ নেতারা আরো অভিযোগ করেন, দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটিতে ঢাকার বিএনপিপন্থী এক ব্যবসায়ীর নাম অন্তর্ভুক্ত করেন সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক বলেন, ‘বিএনপি হোক আর আওয়ামী লীগ হোক, এমপি শম্ভুর কাছ থেকে টাকা ছাড়া কেউ কোনো বিষয়ে প্রতিকার পায়নি। বিশেষ করে তাঁর ছেলে সুনাম দেবনাথের মাদক বাণিজ্যের বিষয়ে এর আগেও অনেকবার আমরা কথা বলেছি; কিন্তু ক্ষমতার প্রভাবের কারণে আমরা কোনো প্রতিকার পাইনি।’
এমপি শম্ভুর অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও তরুণ শিল্পপতি মশিউর রহমান সিহাব বলেন, এমপি শম্ভু ও তাঁর মাদকাসক্ত পুত্র সুনাম দেবনাথের নজিরবিহীন নিয়োগ বাণিজ্য, মাদক বাণিজ্য আর দখল, জবরদখলসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা বলতে গিয়ে তিনি একাধিকবার শম্ভু বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ অলি বলেন, অনেক বছর ক্ষমতায় থেকে যুক্তরাষ্ট্র, কলকাতার সল্টলেক এবং ঢাকার গুলশানে একাধিক বাড়ি-গাড়ি করেছেন এমপি শম্ভু। এসব বিষয়ে কথা বললেই ‘সাম্প্রদায়িকতার’ অভিযোগ দিয়ে তিনি তাঁর প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা চালান।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, ‘এমপি শম্ভুর দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে এত দিন অভ্যন্তরীণভাবে আমরা কথা বলেছি। কিন্তু যখন দেখলাম জননেত্রী শেখ হাসিনার এত অর্জন, দেশের মানুষের জন্য তাঁর এত সেবা, সব কিছুই ম্লান হয়ে যাচ্ছে একজন ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে। সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রের কোনো সেবাই যখন পয়সা ছাড়া পাচ্ছিল না তখন আমরা সবাই একযোগে এর প্রতিবাদ করতে বাধ্য হয়েছি।’
জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও বরগুনা পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান বলেন, ‘এমপি শম্ভুর সব দুর্নীতির বিষয় এখন ওপেন সিক্রেট। তাঁর এসব অনিয়মের দায় আমরা নিতে পারি না। এসব অনিয়মের দায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ বা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও নিতে পারে না। তাই বাধ্য হয়ে সাংগঠনিকভাবে আমরা প্রতিবাদ করেছি।’ মুক্তিযুদ্ধে না গিয়েও এমপি শম্ভুর মুক্তিযোদ্ধা হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বরগুনায় আমরা যারা সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধ করেছি তারা কেউই তাঁকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে দেখিনি। তা ছাড়া এমপি শম্ভুও এর আগে কখনো নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করেননি। মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো তালিকায় তাঁর নামও ছিল না। পরে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কারচুপির মাধ্যমে সর্বশেষ তালিকায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব মৃধা বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে হাই স্কুল, কলেজ, এমনকি মাদরাসার শিক্ষক নিয়োগ থেকেও কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এমপি শম্ভু। কাবিখা, টিআর আর ৪০ দিনের কথা বলাই বাহুল্য।’ তিনি আরো বলেন, ‘এমপি শম্ভুর পোষ্য কতিপয় দুর্নীতিবাজ নেতা রয়েছে, যাদের মাধ্যমে কৌশলে তিনি এসব উেকাচ সংগ্রহ করে থাকেন।’ প্রভাব খাটিয়ে বরগুনা উপজেলা পরিষদের সামনের ঐতিহ্যবাহী একটি দিঘি দখল করে প্রায় এক একর জমিতে এমপি শম্ভু একটি বাংলোবাড়ি করেছেন বলেও অভিযোগ করেন মোতালেব মৃধা।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, ‘এমপি শম্ভু ও তাঁর মাদকাসক্ত ছেলের সব অনিয়ম-দুর্নীতি আর মাদক বাণিজ্যের কথা এখন বরগুনার প্রতিটি বালুকণাও জানে। এত অনিয়ম-দুর্নীতির পরও রহস্যজনকভাবে বারবার মনোনয়ন পেয়ে আসছেন ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা অনেকেই তাঁর সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু এখন তাঁর দুর্নীতির বাঁধ ভেঙে গেছে। বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তির কথা চিন্তা করে এখন আর প্রতিবাদ না করে পারছি না।’
এমপি শম্ভুর বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এমন কোনো সেক্টর নেই যে যেখান থেকে তিনি উৎকোচ নেননি। তাঁর এসব দুর্নীতির কথা বলতে গিয়েই আমি দীর্ঘদিন দলের বাইরে ছিলাম।’ তিনি আরো বলেন, “২০০৭ সালের ‘মাইনাস টু’ পরিকল্পনায় কোরাইশীর পিডিবির সঙ্গে প্রত্যক্ষ লবিং করেন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য করেন শম্ভু।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, ‘কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ হতেই পারে। অভিযোগের সত্য-মিথ্যা থাকতেই পারে। তবে তা সবার আগে জেলা কমিটির সভায় আলোচনা হওয়া উচিত। সেখানে কোনো প্রতিকার না হলে তার পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ যেতে পারে। কিন্তু জেলা কমিটির কোনো সভায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি অথচ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ হলো। এসব কাদা ছোড়াছুড়ি ছাড়া আর কিছুই নয়। এতে সামগ্রিকভাবে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ তিনি বলেন, যে যা-ই করুক, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে সম্ভব সব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
মাদক বাণিজ্যের অভিযোগ প্রসঙ্গে এমপি শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথ বলেন, ‘এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। আমাদের পারিবারিক সুনামকে ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি চক্র এসব মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।’ উল্টো তিনি দাবি করেন, তাঁর কাছে তথ্য রয়েছে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাদক বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কয়েক দিন আগে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেশাগ্রস্ত অবস্থার একটি ছবি যার প্রমাণ বলে তিনি দাবি করেন।
তবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসাইন বলেন, ‘এমপিপুত্র সুনাম দেবনাথের মাদক বাণিজ্যের বিষয়ে কথা বলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁরা আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।’
এমপি শম্ভুর বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতার লিখিত অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বরিশাল বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তবে তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর দুই পক্ষকে ঢাকায় ডেকে এনে বিরোধ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট