সকাল থেকে শুরু হওয়া বজ্রপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ে সারা দেশে ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
রবিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে কালো মেঘে ঢেকে যায় রাজধানীর আকাশ। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রচণ্ড বাতাসের সঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টি। সেই সঙ্গে বজ্রপাত। প্রায় ৩০ মিনিট পর কিছুটা বিরতি দেয় বৃষ্টির ধারা।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, রোববার সকাল ১০ থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঢাকা, কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ (কালবৈশাখী) ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। সেইসঙ্গে বিছিন্নভাবে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, রোববার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও দুই দিন রোববারের মতোই ঝড়-বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে বার্তায়।