সনাতন ধর্মাবলম্বী গোপালগঞ্জের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক অরুন চন্দ্র বিশ্বাস ভারতে ধর্মীয় উপসনালয় পরিদর্শনের জন্য অবকাশকালীন ছুটি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে তাকে সৌদি আরবে হজে যাওয়ার ছুটি দেওয়া হয়েছে!
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মুরশিদা শারমিনের স্বাক্ষরিত এক আদেশে ২৫ জুলাই থেকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে অথবা দায়িত্ব হস্তান্তরের তারিখ হতে তাকে ৫০ দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ শাখা-৪ থেকে এই আদেশ জারি করা হয়। মন্ত্রণালয়ের এই আদেশটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
আদেশের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মুরশিদা শারমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি মনে পড়ছে না। বৃহস্পতিবার অফিসে গিয়ে জেনে আপনাকে জানাতে পারবো।’
তবে অরুন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমি ১ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ভারতে ধর্মীয় উপসনালয় পরিদর্শনের জন্য অবকাশকালীন ছুটির আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে হজে যাওয়ার জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে। এটি সম্ভবত মন্ত্রণালয় ভুল করে দিয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ শাখা-৪ এর যে আদেশে অরুন চন্দ্র বিশ্বাসকে ছুটি দেওয়া হয়েছে সেই আদেশেই নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কালেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাছিমা বেগমকেও ওমরা পালনের জন্য ১ জুন থেকে ২১ জুন অথবা হস্তান্তরের তারিখ থেকে ২১ দিন ছুটি মঞ্জুর করা হয়।
এ বিষয়ে নাছিমা বেগম বলেন, আমার আদেশের সঙ্গে গোপালগঞ্জের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অরুন চন্দ্র বিশ্বাসকেও ছুটি দেওয়া হয়েছে। দুজনের একসঙ্গে আদেশ হলেও আমি তাকে চিনি না। হয়তো তিনি ধর্ম পরিবর্তন করেছেন। ধর্ম পরিবর্তন করলেও আমাদের ক্যাডারের নিয়ম অনুযায়ী নাম পরিবর্তন করা যায় না। নয়তো অন্য কোথাও ভুল হয়েছে।