ন্যাশনাল ডেস্ক: চলমান মাদকবিরোধী অভিযানকে ঘিরে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতার-বাণিজ্য চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
তারা হলেন- উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জুয়েল হোসেন।
এর মধ্যে মঙ্গলবার রাত ৯টায় এএসআই জুয়েলকে প্রত্যাহার করে ফরিদপুর পুলিশলাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার সকালে চরভদ্রাসন থানার ওসি রামপ্রসাদ ভক্ত এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এএসআই জুয়েল হোসেনকে জনস্বার্থে বদলি করে ফরিদপুর পুলিশলাইনে নিয়ে রাখা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধু ফকিরের ডাঙ্গী গ্রামের একটি নির্জন স্থান থেকে তিন যুবককে আটক করেন এএসআই জুয়েল।
তারা হলেন- উপজেলার মৌলভীরচর গ্রামের আল আমিন (৩০), জুয়েল আহাম্মেদ (৩২) ও পার্শ্ববর্তী সদরপুর উপজেলার সুজন পাল (২৮)।
এদের মধ্যে আল আমিন ও জুয়েল আহাম্মেদের স্বজনদের কাছ থেকে প্রায় এক লাখ টাকা উৎকোচ নিয়ে ওই রাতেই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
কিন্তু আটক সুজন পাল উৎকোচ দিতে না পারায় পর দিন ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার দেখিয়ে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ঘটনা জানতে পেরে মঙ্গলবার রাতে এএসআই জুয়েল হোসেনকে প্রত্যাহার করার আদেশ দেন।
অভিযোগের বিষয়ে এএসআই জুয়েল হোসেন বলেন, সোমবার রাতে মাদকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে থানায় আনার পর আমি সেকেন্ড অফিসার এসআই স্বপন কুমারের হাতে সোপর্দ করেছি। স্বপন স্যার আসামিদের কী করেছেন তা আমি বলতে পারব না।
এদিকে দুজনকে ছেড়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন এসআই স্বপন কুমার। তিনি বলেন, আটক আল আমিন ও জুয়েল আহাম্মেদ মাদক বহনকারী ইজিবাইকচালক ছিল। তাই থানাহাজত থেকে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।