দেশের খবর: হলি আর্টিজানে রক্তাক্ত জঙ্গি হামলার ঘটনায় পলাতক জঙ্গি নেতা শরিফুল ইসলাম খালেদ এবং মামুনুর রশীদ রিপনসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে সিটিটিসির দেয়া চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।
আজ দিনের কোন এক সময়ে আদালতে ওই চার্জশিট জমা দেবেন গোয়েন্দারা। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের দৃষ্টি কাড়তে নব্য জেএমবি সদস্যরা ওই হামলা চালায় বলে গোয়েন্দা তদন্তে বের হয়ে এসেছে। দুপুরে সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম এ কথা জানান।
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ২০১৬’র পয়লা জুলাই রাতভর জিম্মি করে রেখে জঙ্গিরা দুই পুলিশ কর্মকর্তা এবং ৯ ইতালীয়, ৭ জাপানি, এক ভারতীয় ও এক মার্কিন নাগরিককে হত্যা করে। মামলায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট- সিটিটিসি’র তদন্তে উঠে আসে জঙ্গি নেতা কানাডীয় নাগরিক তামিম চৌধুরী, সারোয়ার জাহান, তানভীর কাদেরী শিপার, নূরুল ইসলাম মারজান বাশারুজ্জামান চকলেট, মেজর জাহিদ, ছোট মিজান এবং নিবরাসসহ জঙ্গিরা নাটোরের একটি বাসায় বসে হলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে।
ঘটনায় নিজেদের জড়িয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জঙ্গি রাশেদুর ইসলাম র্যাশ, রাজিব গান্ধি, হাতকাটা মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান এবং বড় মিজান। এরা ছাড়াও চার্জশিটে আরও দুই পলাতক জঙ্গির নাম যুক্ত হচ্ছে। হামলা ও হত্যা ঘটনায় ৮ জঙ্গির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ জোগাড় করেছেন তদন্তকারীরা। তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেবে পুলিশ। আসামিদের দু’জন এখনও পলাতক। পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে গ্রেফতার একজনকে চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন হামলার মোটিভ ছিলো নতুন গড়ে ওঠা নব্য জেএমবির অস্তিত্ব জানান দেয়া। নেতৃত্ব পর্যায়ে জঙ্গিদের একজনকে জীবন্ত ধরতে না পারায় হলি আর্টিজানের হামলার পেছনে দেশের কোনো রাজনৈতিক শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা ছিলো কি না, জানতে পারেননি তদন্তকারী গোয়েন্দারা।