চির অবসান হলো ভারতীয় রাজনীতির ‘অটলজী’ অধ্যায়ের। দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে চির বিদায় নিলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি।
চিকিৎসক আরতি ভিজ সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত ৯ সপ্তাহ ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। অবস্থা সংকটজনক। তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
বাজপেয়ির শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পেয়েই গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাজপেয়ির শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন তিনি। হাসপাতালে প্রায় ৫০ মিনিটের মতো সময় কাটান মোদী।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ছাড়াও বাজপেয়িকে দেখতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, হর্ষবর্ধন এবং বিজেপি এমপি মীনাক্ষি লেখিসহ অনেকে। কিডনি, মূত্রাশয় এবং বুকে সংক্রমণের জন্য গত ১১ জুন এআইআইমস এ ভর্তি হন বাজপেয়ি।
বাজপেয়ি হিন্দু জাতীয়তাবাদি দল বিজেপির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। তাকে ভারতীয় রাজনীতির একজন মহারথি বলা হতো।
তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন বাজপেয়ি। তাঁর সবচেয়ে বড় ভূমিকা ভারতকে বিশ্বের বুকে পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠায়। ১৯৯৮ বাজপেয়ির মুখ থেকেই বিশ্ব জানতে পারে ভারতের পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালানোর খবর।
বাজপেয়ির মৃত্যুতে শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি টুইটে বলেন, ‘আমাদের সবার প্রিয় অটলজির মৃত্যুতে ভারতবর্ষ শোকাহত। তার মৃত্যুতে একটি যুগের অবসান হলো। তার অনুপস্থিতির ক্ষতি অপুরণীয়। এ মৃত্যু আমার কাছে ব্যক্তিগত শোক।’
ভারতীয় রাজনীতির ক্যারিশম্যাটিক নেতার মৃত্যুর পর দিল্লির এআইআইএমএস হাসপাতালে ভীড় জমান অনেকে। সেখানে ভিনেট খের নামে ব্যক্তি বলেন, ‘ভারতের গর্ব বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বাজপেয়ি।’
রাজনীতির বাইরে হিন্দি ভাষার একজন নামকরা কবি ছিলেন বাজপেয়ি। তাঁর অনেকগুলো কবিতার বই বেরিয়েছে।