দেশের খবর: আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১০ ঘণ্টায় ৮০০ জনের জামিন-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আমি দেখেছি। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করবে। সোমবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে একটি নিউজ চ্যানেলে ১০ ঘণ্টায় ৮০০ জনের জামিন-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনের বিষয়টি নজরে আনলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।
চ্যানেলের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন অবিশ্বাস্য গতির জামিনের দেখা মিলেছে ঢাকার সিএমএম আদালতে ঈদের আগে শেষ দুই কার্যদিবসে। ওই দুদিন আবেদন করা শতকরা ৮৫ ভাগ ভাগ্যবানই জামিন পেয়েছেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি বলছেন, এমন ঘটনা বিচার বিভাগ স্বাধীন হওয়ার পর ঘটেনি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানালেন, তিনি বিষয়টি অনুসন্ধান করছেন।
ঢাকা মহানগরের ভেতরে অপরাধ বা সন্দেহজনকভাবে কাউকে ধরা হলে তাদের হাজির করা হয় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে। এখানে কারও জামিন মিলবে কি না- তা প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করে দেয় এই আদালত। পরিসংখ্যান বলছে, স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন প্রায় ৮০-৯০ জন জামিন পান এ আদালত থেকে।
এবার ঈদুল আজহার আগে শেষ দুই কর্মদিবসে ৮০০ জনকে জামিন দেন ঢাকার সিএমএম আদালত। এর মধ্যে অজ্ঞান পার্টির সদস্য, ছিনতাইকারী, ইয়াবা মামলার আসামিও রয়েছেন। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বিপুল সংখ্যাক আসামির জামিন পাওয়ার ঘটনায় হতবাক রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহ আলম তালুকদার। তিনি বলেন, বিরোধিতার পরেও একসঙ্গে এত আসামির জামিন ২০০৭ সালের পর হয়নি।
জানা গেছে, জামিন আবেদন করে ১৯ আগস্ট ৪০৭ জনের মধ্যে ৩১৭ জন এবং ২০ আগস্ট ৫৯০ জনের মধ্যে ৪৩২ জন জামিন পান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের সঙ্গে টেলিফোনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, বিষয়টি শোনার পর তা অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে, জামিন পাওয়া ৮০০ জনের মধ্যে একাধিক মামলার আসামি আছে কি না- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।