এম বেলাল হোসাইন: মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা অগ্রগতি সংস্থার রিসোর্স সেন্টার মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফিল্ড ট্রিপের অংশ হিসেবে স্থানীয় নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও একাডেমিশিয়ানদের সাথে সংলাপে সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম।
ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুমের সঞ্চালনায় সংলাপে বক্তব্য রাখেন, সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিনিধি কল্যাণ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, অধ্যাপক ও লেখক শুভ্র আহমেদ, টিআইবি সাতক্ষীরার এরিয়া ম্যানেজার আবুল ফজল মোহাম্মাদ আহাদ, অগ্রগতি সংস্থার পরিচালক আব্দুস সবুর প্রমুখ। এসময় স্থানীয় আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাও তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা জলবায়ু পরির্তেনের ফলে ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশের অন্যতম একটি জেলা। একদিকে সাতক্ষীরার যেমন সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও কিছু অসাধু ব্যক্তির সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতার কারণে এখানকার মানুষকে বিভিন্ন সময়ে পরিবেশগত দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়। সাতক্ষীরার নদী-খালগুলো আজ প্রায় সব ভরাট হয়ে গেছে। খালগুলো প্রভাবশালীরা দখল করে রেখেছে। তাছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগের গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর সাথে স্থানয়ীদের সম্পৃক্ত না করা এবং তাদের মতামত উপেক্ষা করার কারণে দুর্ভোগ আরও বাড়তে থাকে। এবিষয়ে পরিকল্পনারও যথেষ্ট অভাব রয়েছে। যে কারণে সাতক্ষীরার অনেক এলাকার মানুষকে জলাবদ্ধতার শিকার হতে হয়। বিশেষ করে উপকূলের মানুষগুলো সুপেয় পানির কষ্ট ভোগ করছে। এর কারণ অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ এবং প্রভাবশালী মহল কর্তৃক পানি নিষ্কাশনের খাল-বিলগুলোতে যত্রতত্র প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রাখা। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের একটিই পথ আছে বলে বক্তারা মতামত দেন। আর তা হলো- একটি যথাযথ সমীক্ষার মাধ্যমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তারপর সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা। তবে এ প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে না।
আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।
পূর্ববর্তী পোস্ট