বিদেশের খবর: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিচারকের স্ত্রী-পুত্রকে প্রকাশ্য বাজারে গুলি করেছে তারই ব্যক্তিগত দেহরক্ষী। পরে গুলিবিদ্ধ দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিচারকের স্ত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হলেও তার ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ। গুরুগ্রামে সেক্টর ৪৯-এ আর্কাডিয়া বাজারের কাছে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। এদিকে গুলি চালানোর দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে বিচারকের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীকে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
প্রাথমিক জেরার পর পুলিশ জানিয়েছে, দেহরক্ষীর নাম মহিপাল। প্রায় দেড় বছর ধরে বিচারকের দেহরক্ষী হিসেবে নিযুক্ত ছিল সে। বিচারকের পরিবারের হাতে নিয়মিত দুর্ব্যবহারের শিকার হতো মহিপাল। সেই হতাশা থেকেই প্রকাশ্য বাজারে গুলি চালিয়ে তাদের মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় সে।
জানা যায়, বাজার করতে গিয়েছিলেন জেলার অতিরিক্ত সেশনস বিচারক কিষাণকান্ত শর্মার স্ত্রী ও পুত্র।
সঙ্গে ছিলেন ব্যক্তিগত দেহরক্ষীও। পরে বাজারের মধ্যেই সবাইকে হতচকিত করে গুলি চালাতে শুরু করেন ওই দেহরক্ষী। প্রথমে গুলি করে বিচারকের স্ত্রীকে, তারপর ছেলেকে।
এরপরই বিচারকের ছেলেকে টেনে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে সফল না হওয়ায় ছেলেকে রাস্তাতেই ফেলে বিচারকের গাড়ি নিয়েই পালায় সে। নাটকের এখানেই শেষ নয়। বিচারকের গাড়ি নিয়েই স্থানীয় সদর পুলিশ থানায় এসে ফের গুলি চালাতে শুরু করে ওই দেহরক্ষী।
থানায় উপস্থিত পুলিশকর্মীরা তাকে ধরতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কিছুক্ষণ পরে গুরুগ্রাম-ফরিদাবাদ রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।