রাজনীতির খবর: বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে আগামীকাল বুধবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নুরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। জোটের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল কাল দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশন ভবনে যাবে।
এ ছাড়া ১৬ নভেম্বর বিকেল ৩টায় জাতীয় পত্রিকার সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এরপর ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। সেই তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জরুরি বৈঠক শেষে জোটের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধিদল কাল দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশন ভবনে গিয়ে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করবে।
এর আগে বৈঠক থেকে বের হওয়ার পর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব যা বলার বলবেন। আলাদা করে বলতে চাই না। তবু আপনারা যেহেতু জানতে চেয়েছেন, এতটুকু বলি, দেশ সম্পূর্ণ অনিয়মে চলছে। আমরা সেটা নিয়মে আনতে চাই।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ঠিকভাবে চলছে না। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সাত দিন পিছিয়েছে, সেটা অন্যায়। এটা তো সরকারের আহ্বান, বদরুদ্দোজা চৌধুরীর আহ্বান ছিল। আমরা তো এক মাস চেয়েছি। দেশের মানুষ এক মাস পেছানোর কথা বলেছে।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, ‘প্রত্যেকটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া হয়। কিন্তু এই নির্বাচন কমিশন সেটা করেনি। সে জন্য আমার সন্দেহ হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ভালোভাবে নির্বাচন করতে পারবেন কি না। এই সন্দেহ এখনো মানুষের মধ্যে আছে। অনেকের ধারণা, সরকার ভোট নিয়ে যাবে। আমার ধারণা, সরকার ভোটে টিকতেই পারবে না।’
চলমান রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করতে আজ দুপুর ১২টায় ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে বৈঠক শুরু হয়। চলে দেড়টা পর্যন্ত। ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মোহসীন মন্টু, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।