দেশের খবর: নির্বাচনের আগের রাতে দেশজুড়ে মোবাইল ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
রোববার একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সামনে রেখে শনিবার দুপুর থেকেই মোবাইল ইন্টারনেটের ফোর জি ও থ্রি জি সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরে মধ্যরাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরগুলোকে টু জি ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়। ভোটের পরদিন ৩১ ডিসেম্বর প্রথম প্রহর (০০.০১ আওয়ার) পর্যন্ত এই ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখতে বলেছে তারা।
এর ফলে শনিবার রাত ১১টার পর থেকে মোবাইল গ্রাহকরা সম্পূর্ণরূপে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেন।
এর আগে শনিবার বিকাল ৩টার পর থেকে ফোর জির ভয়েস ও ডেটা এবং থ্রি জির ডেটা সেবা পুরোপুরি বন্ধ রাখতে বলে বিটিআরসি।
একটি মোবাইল অপারেটরের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিটিআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী তারা কাজ করছেন এবং রাত ১১টার পর থেকে টু জি ইন্টারনেটও বন্ধ রয়েছে।
ইন্টারনেট বন্ধের কারণ ব্যাখ্যায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) জাকির হোসেন খান বলেন, ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে ও গুজব প্রতিরোধে’ সরকারের নির্দেশনায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সারা দেশে ২৯৯ আসনে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। বিটিআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটের দিন পেরিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট পাওয়া যাবে না।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রায় ১০ ঘণ্টা মোবাইল ইন্টারনেটে ফোর জি ও থ্রি জি সেবা বন্ধ রাখা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় খোলার পর শনিবার দুপুর পর্যন্ত তা চলছিল।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার হিসাবে গত নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ১৮ লাখের বেশি; এর মধ্যে ৮ কোটি ৬০ লাখ গ্রাহক মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হককে মোবাইলে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।