বিদেশের খবর: ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী রামি আল হামদাল্লাহ ও তার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী রামি আল হামদাল্লাহ মঙ্গলবার নিজে পদত্যাগের কথা নিশ্চিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের পদত্যাগে গাজার হামাস শাসকদের সঙ্গে আব্বাসের ফাতাহ’র সম্প্রীতির প্রচেষ্টাকে সংশয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদেন জানানো হয়েছে, নতুন সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান মন্ত্রিসভাই সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকের পর সরকার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মন্ত্রিসভার এমন পদত্যাগ নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেননি। তবে দু’দিন আগে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফাতাহ’র এক বৈঠকে বর্তমান সরকারের পরিবর্তে নতুন একটি সরকার গঠনের সুপারিশ করা হয়েছিল।
হামাসের একজন কর্মকর্তা এর নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, মন্ত্রিসভার এমন পদক্ষেপ দলটিকে ফিলিস্তিনের রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া ও একঘরে করার চেষ্টার অংশ।
শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত রামি আল হামদাল্লাহ ২০১৪ সালে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করেন। তিনি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ভিত্তিক হামাসের সঙ্গে ফাতাহ’র সম্প্রীতির প্রচেষ্টার নেতৃৃত্ব দিচ্ছিলেন। বিগত ২০০৬৭ সালে যে দল গাজা নিয়ন্ত্রণ নিতে সমর্থ হয়।