দেশের খবর: আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ক্রুজ শিপ ‘এমভি মধুমতি’ ঢাকার নিকটবর্তী নারায়ণগঞ্জের পাগলা ঘাট থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করবে। একই দিনে ভারতের ক্রুজ শিপ ‘মেসার্স আর ভি. বেঙ্গল গঙ্গা’ কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে।
দীর্ঘ ৭০ বছর পর ক্রুজ শিপ যাত্রার ঐতিহাসিক মুহুর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে শুক্রবার বিকাল ৫ টায় রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে নারায়ণগঞ্জের পাগলাস্থ ভিআইপি ঘাটে (মেরিএন্ডারসন) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল প্রধান অতিথি এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
ব্রিটিশ আমলে আসাম থেকে ঢাকা-চাঁদপুর-বরিশাল হয়ে কলকাতা রুটে চলত স্টিমার। দেশভাগের পর বন্ধ হয়ে যায় ওই সার্ভিস। মাঝে অনেকবার তা আবার চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও সফলতা আসেনি। সর্বশেষ গত বছর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আবার নৌপথে যাত্রী পরিবহন সার্ভিস চালুর বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এর সুবাদে অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অবশেষে আগামী ২৯ মার্চ পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা ও কলকাতা দুদিক থেকেই দুটি যাত্রীবাহী নৌযান যাত্রা শুরু করবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থার (বিআইডাব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাস কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘১৯৪৭ সালের দেশভাগের মধ্য দিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ-ভারতের নৌযাত্রী পরিবহন সার্ভিসটি। অনেক দিন ধরে চেষ্টার পর অবশেষে ২৯ মার্চ আমাদের একটি সরকারি যাত্রীবাহী পরিবহন দিয়েই পরীক্ষামূলকভাবে এ সেবা শুরু করছি। সেদিন কলকাতা থেকেও ভারতীয় একটি যাত্রী পরিবহন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে বলে আমরা জানি। এ জন্য যাত্রীদের ভারতীয় ভিসা থাকতে হবে। পথিমধ্যে সীমান্ত এলাকায় হবে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া।’
বিআইডাব্লিউটিসি সূত্র জানায়, এ যাত্রাপথের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা-কলকাতা ফ্যামিলি স্যুট (দুজন) ১৫ হাজার টাকা, প্রথম শ্রেণি কেবিন (যাত্রীপ্রতি) পাঁচ হাজার টাকা, ডিলাক্স শ্রেণি (দুজন) ১০ হাজার টাকা, ইকোনমি চেয়ার (যাত্রীপ্রতি) আট হাজার টাকা এবং সুলভ শ্রেণি বা ডেক (যাত্রীপ্রতি) এক হাজার ৫০০ টাকা।