বিদেশের খবর: জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনুতাপ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ঔপনিবেশিক ভারতে ১৯১৯ সালে পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসরে ইংরেজ সেনানায়ক ব্রিগেডিয়ার ডায়ারের নির্দেশে এই গণহত্যা সংঘটিত হয়।
সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে তার এই অনুতাপের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এই হত্যাকাণ্ডের শতবর্ষ পূরণ হওয়ার তিনদিন আগে থেরেসা মে বললেন, ‘সেদিন যা ঘটেছিল এবং তার কারণে মানুষের যে ক্ষতি হয়েছে আমরা তার জন্য গভীরভাবে অনুতপ্ত।’
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিরোধীদল লেবার পার্টির নেতা জেরমি করবিন জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যা নিয়ে ‘একটি পূর্ণাঙ্গ, স্পষ্ট ও দ্বিধাহীন অনুশোচনা’ জানানোর জন্য আহ্বান জানান। লেবার পার্টির আরেক এমপি বলেন, ‘ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এ নিয়ে জনসম্মুখে দুঃখপ্রকাশ করার এটাই উপযুক্ত সময়।’
ঔপনিবেশিক ভারতে অমৃতসরের পূর্ব দিকে অবস্থিত জালিয়ানওয়ালাবাগ নামক উদ্যানে জেনারেল ডায়ারের নেতৃত্বে ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল নিরস্ত্র জনতার ওপর ইংরেজ সরকারের একদল সেনা বেপরোয়া গুলিবর্ষণ করে যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়, তা-ই ইতিহাসে ‘জালিয়ানওয়ালাবাগ’ হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত।
জালিয়ানওয়ালাবাগ উদ্যানে নারী-পুরুষ ও শিশুদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। ব্রিটিশ শাসকদের হিসাব অনুযায়ী, সেই হত্যাযজ্ঞে আনুমানিক ৪০০ মানুষ নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়। তবে ভারতীয় হিসাব মতে সেদিন প্রায় এক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন ২১০৩ সালে ভারত সফরের সময় এই হত্যাকাণ্ডকে ‘চরম লজ্জাজনক বলে বর্ণনা করলেও অনুতপ্ত কিংবা আনুষ্ঠানিক দুঃখপ্রকাশের বিষয়টি আটকে দেন। আগামী শনিবার সেই হত্যাকাণ্ডের ১০০ বছর পুর্তি হবে।