দেশের খবর: অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়ে দেশের মানুষের কাছে সুস্থভাবে আবার ফিরে আসায় সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার সন্ধ্যা পাঁচটা ৫৪ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইশরাতুনেচ্ছা কাদের, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভীসহ দলের কিছু নেতাকর্মী তার সঙ্গে ছিলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমেদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, বিএম মোজাম্মেল হক, শেখ হেলাল উদ্দীন ও ইকবাল হোসেন অপু এমপি, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজসহ আওয়ামী লীগের নেতারা বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।
বিমানবন্দরে ভিভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আমার প্রাণপ্রিয় দেশবাসীর সামনে আবার আসতে পারব; যা ছিল অকল্পনী, অবিশ্বাস্য। কিন্তু আমি আপনাদের কাছে ফিরে এসেছি। আর এজন্য মহান শ্রষ্টা ও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নিরাময়দাতার প্রতি জানাচ্ছি অসীম কৃতজ্ঞতা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, একজন রাজনীতিবিদের জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন জনগণের ভালবাসা পাওয়া। তিনি সেই ভালবাসা পেয়েছেন।
নতুন উদ্যোমে আওয়ামী লীগের পাশে থেকে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সেতুমন্ত্রী তার চিকিৎসা থেকে শুরু করে সব সময় পাশে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। একইসঙ্গে দলের সব নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান ওবায়দুল কাদের।
সাধারণ সম্পাদককে অভ্যর্থনা জানাতে আগে থেকেই শত শত নেতাকর্মী বিমানবন্দরে জড়ো হতে শুরু করেন। সেতুমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ সাংবাদিকদের জানান, বুধবার দুপুরে দুইটায় সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্ট থেকে ওবায়দুল কাদেরকে বহনকারী বিমানটি দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের গত ৩ মার্চ ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ইনটেনটিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি হন। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও এনজিওগ্রাম করে তার হার্টে তিনটি ব্লক পাওয়া গেলে একটি ব্লকে রিং পরানো হয়। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়।
ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠির পরামর্শে ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওবায়দুল কাদেরকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের আইসিইউতে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফিলিপ কোহের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলে তার।
২০ মার্চ কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. শিভাথাসান কুমারস্বামীর নেতৃত্বে সেতুমন্ত্রীর বাইপাস সার্জারি করা হয়। ছয়দিন পর তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এক মাস চিকিৎসা শেষে ৫ এপ্রিল ওই হাসপাতাল ছাড়লেও ফলোআপ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে ছিলেন তিনি।