নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার বাইপাস সড়ক সংলগ্ন কুচপুকুর এলাকায় মুকুল হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে শহরের বাইপাস সড়কের ইটভাটা সংলগ্ন কুচপুকুর এলাকা থেকে মুখ, হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মুকুল হোসেন সাতক্ষীরা শহরের বাঁকাল ইসলামপুর এলাকার হরজেন মোল্যা(কেনু) এর পুত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ঐ এলাকায় মুখ, হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় এক ব্যাক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, স্থানীয়দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ নিহত মুকুলের লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধারের সময় তার মুখ হাত ও পা বাধা ছিল। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় ৩০টিরও বেশী চুরির মামলা রয়েছে। তিনি আরো জানান, ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, ভারত থেকে নেশাদ্রব্য না এনে দেওয়ায় মুকুল কে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে নিহতের মাতা সায়রা বানু বলেন, ৫ সন্তানের মধ্যে মুকুল হোসেন সেঝ। সে নেশা করতো আর ছোট খাটো চুরি করতো। রোববার দুপুরে মুকুল বাড়ির পিছন দিক দিয়ে যাচ্ছিল। আমি তাকে পিছন দেওয়া যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে মুকুল কান্না জড়িত কণ্ঠে বলে, একই এলাকার পিয়ার আলীর ছেলে মিজান, আব্দুল আজিজের পুত্র সাইফুল ও হযরত আলীর পুত্র নক্কু আমাকে দেখতে পেলে মেরে ফেলবে। তারা আমার কাছে ইয়াবা আনতে টাকা দিয়েছিলো। কিন্তু বিএসএফ টাকাগুলো কেড়ে নেওয়ায় আনতে পারিনি। ওরা হুমকি দিয়েছে আমাকে হত্যা করবে। তখন বাড়ি থেকে বের হয়ে মুকুল আর বাড়ি ফেরেনি। তিনি আরো বলেন, উক্ত সাইফুল, মিজান ও নক্কু এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী এবং হিং¯্র। তারা যখন তখন মানুষকে মারপিট করে। ছেলে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করবেন বলে সায়রা বানু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।