ইউনুস গাজী, রাজগঞ্জ(যশোর) প্রতিনিধি : রাজগঞ্জ বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও এই কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৬০ টাকায়।
দাম বাড়ার পেছনে টানা বৃষ্টি এবং বন্যাকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টি ও বন্যার অজুহাতে একটি চক্র এ দাম বাড়িয়েছে।
রাজগঞ্জ বাজারঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২০০ টাকায়। বিক্রেতা বলছে, দাম নাকি আরো বাড়বে।
হঠাৎ কাঁচা মরিচের মূল্য এত বৃদ্ধির কারণ জিজ্ঞাসা করলে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আড়তেই কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। তারা আড়ত থেকে বাড়তি দরে কিনে এনে স্বল্প লাভে বিক্রি করছেন।
পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। বাজারে কাঁচা মরিচ আমদানি কমে গেছে। সেজন্য মরিচের দাম এত বেড়েছে।
সচেতন ক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে মরিচ উৎপাদন কমে গেছে কথা সত্য কিন্তু সেই অজুহাতে মাত্র চার দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১৪০ টাকা বৃদ্ধির কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই। নিশ্চয়ই এর পেছনে রয়েছে মুনাফাখোরদের কালো হাত।
দেশের সবচেয়ে কাঁচা মরিচ বেশি উৎপাদিত হয় বরিশাল ও ময়মনসিংহ এলাকায়। সেখানে এখনো বন্যা হয়নি কিংবা এতটা বেশি বৃষ্টি হয়নি। যশোর অঞ্চলেও প্রচুর পরিমাণে কাঁচা মরিচ উৎপাদিত হয়। বৃষ্টির অজুহাতে মুনাফাখোর চক্র কাঁচা মরিচের মূল্য বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের পকেট খালি করছে।
একইভাবে অত্যাবশ্যকীয় মসলা, রসুন, শুকনা মরিচ, এলাচ, গোলমরিচ, আদাসহ বিভিন্ন মসলার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে।