নিজস্ব প্রতিবেদক: অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ কিছুটা দুর্বল হয়ে শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত ৯টা নাগাদ সুন্দরবনের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-সাতক্ষীরা-খুলনা উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। মধ্যরাতে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-সাতক্ষীরা-খুলনা উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে। এর প্রভাবে সাতক্ষীরা শহরেও প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
শনিবার রাত ১১টায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বুলেটিনে (২৭ নম্বর) এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও উত্তর দিকে ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে। শনিবার রাত ৯টায় এটি পশ্চিমবঙ্গ-সাতক্ষীরা-খুলনা (সুন্দরবন) অতিক্রম করতে শুরু করেছে। উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়বে বুলবুল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ও মুন ফেজের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।