নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘এখনই সময় অঙ্গীকার করার, যক্ষামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় যক্ষারোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সাতক্ষীরা চারুকলা এসোসিয়েশনের সদস্যদের সাথে যক্ষা রোগী সনাক্ত করণে করনীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে নাটাব সম্পাদক মোঃ আব্দুল হান্নান মোল্যার সভাপতিত্বে সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সভাকক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ আবু শাহীন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ ,সাতক্ষীরা চারুকলা এসোসিয়েশনের উপদেষ্ঠা, এপিপি এড. ফাহিমুল হক কিসলু , বিশেষ আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইফুল্লাহ আল কাফি। ব্র্যাক জেলা ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম। দৈনিক কাফেলার স্টাফ রিপোর্টার শেখ কামরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন নাটাব কর্মকর্তা তরুন কুমার বিশ^াস।
সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন চারুকলা এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন, এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহ বা তার অধিক সময়ে কাশি থাকলে, ক্ষুধা মন্দা, শরীরের ওজন কমে যাওয়া, রাতে জ্বর আসা, বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট এমন লক্ষণ দেখা দিলে ফুসফুসে যক্ষা হওয়ার লক্ষণ। যক্ষারোগের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যক্ষা একটি জীবানু ঘটিত সংক্রামক রোগ। একনগাড়ে দুইসপ্তাহ বা তার অধিক সময়ে কাশি থাকলে কফ পরীক্ষায় রোগ সনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ও নির্দিষ্ট সময়পর্যন্ত ঔষধ সেবনের মাধ্যমে যক্ষা সম্পূর্ণ ভালো হয়। হাঁচি, কাশি দেওয়ার সময়ে রুমাল ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশের সকল জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক সমূহে বিনামূল্যে কফ পরীক্ষা ও যক্ষা চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশ সরকার যক্ষারোগীর জন্য সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চিকিৎসার সমস্ত ঔষধ বিনামূল্যে বহন করে।